আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জি২০ বৈঠকে যোগ দিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান নয়াদিল্লী গিয়ে রবিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তাঁর কাছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার বিষয়টি নিয়ে জানতে চায়া হলে, তিনি বলেন: ভারতের মতো দেশ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হতে পারলে, আমি গর্বিত হবো। আপনারা জানেন যে, বিশ্ব পাঁচটা (নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য) দেশের তুলনায় অনেক বড় ও ব্যাপক। এদের বাইরে থাকা বাকী সব দেশ যেনো নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হতে পারে, সেজন্যে রোটেশন পদ্ধতি চালু করা উচিত। তাহলে সবার সামনেই সুযোগ আসবে। নিরাপত্তা পরিষদ মানে তো শুধু আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও বৃটেন নয়, বরং তার বাইরের সব দেশকেও গুরুত্ব দিতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত হলো তুরস্কের বাণিজ্যিক সবচেয়ে বড় সহযোগী। দু’ দেশের মাঝে সহযোগিতা বাড়ানোর অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনা আছে।
জি২০ শীর্ষ বৈঠকে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনও জানিয়েছেন যে, জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য হতে ভারতের দাবি তিনি সমর্থন করেন।
জি২০ শীর্ষ বৈঠকের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এরদোয়ান। এরপর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, আর্থিক ও অন্য ক্ষেত্রে দু’ দেশের সহযোগিতা আরো বাড়বে বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া, তিনি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও মিসরের প্রসিডেন্ট আব্দেল ফাতেহ আস-সিসির সাথেও বৈঠক করেছেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারতের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হওয়ার পক্ষে থাকাটা এরদোয়ানের নিতান্তই কূটনৈতিক অবস্থান। কেননা, তিনি বেশ ভালো করেই জানেন যে, নিরাপত্তার পরিষদের ৫ সদস্যের মাঝে আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স ও বৃটেন ভারতকে সমর্থন করলেও ভারতের চিরশত্রু চীন এটা কোনোভাবেই সমর্থন করবে না। কাজেই, শুধু শুধু বাণিজ্যিক বন্ধু ভারতকে অসন্তুষ্ট না করে বরং কূটনৈতিকভাবে এখন ভারতকে সমর্থন দিলে, ভবিষ্যতে তুরস্কের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হওয়ার প্রশ্নে ভারতের সমর্থন পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকবে। সূত্র: ডয়চে ভেলে ও অন্যান্য।