আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের ইয়ুননান প্রদেশের প্রাচীতম শহর হচ্ছে চিয়ানশুই টাউন। চীনের ইয়ুননানের হংহ্য প্রিফেকচারে অবস্থিত এই চিয়ানশুই কাউন্টির একটি প্রাচীন এলাকাকে বলা হয় চিয়ানশুই টাউন।
খুনমিং শহর থেকে ২১৪ কিলোমিটার দূরে এই টাউন। এখানে বাস করে হংহ্য হানি ও ই জাতির জনগোষ্ঠীরা। অনেক বছর ধরে এই এলাকাটি হয়ে উঠেছে ইয়ুননানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
শুয়াংলোং ছিয়াও বা শুয়াংলোং ব্রিজ এখানকার একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থান। একে ডবল ড্রাগন ব্রিজও বলা হয়ে থাকে। এই চিয়ানশুই টাউন থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে গেলেই দেখা যায় প্রাচীন এই সেতু। লুশুই এবং থাসুন নদীর সংযোগ স্থলে এই দৃষ্টিনন্দন সেতুটি নির্মিত হয় ছিং রাজবংশের আমলে। সম্রাট ছিয়ানলং(১৭১১-১৭৯৯ সাল) প্রথম এই সেতু নির্মাণ করেন।
পরবর্তীতে সম্রাট কুয়াংসু (১৮৭১-১৯০৮ সাল) এটাকে পুনর্নির্মান করেন। এটাতে ১৪টি গর্ত বা হোল তৈরি করা হয়। বর্তমানে এটি ১৭ গর্ত ব্রিজ বা সেভেনটিন হোল ব্রিজ নামেও পরিচিত। ব্রিজটি ১৫৩ মিটার দীর্ঘ এবং ৩ মিটার চওড়া। ব্রিজের মধ্যভাগ সবচেয়ে নান্দনিক ও রাজকীয়। আর পুরো সেতুটি তৈরি কালো মার্বেল পাথর দিয়ে। এই সেতুকে ‘গ্র্যান্ড ভিউ প্যাভিলিয়ন অব সাউথ ইয়ুননান’ নামেও ডাকা হয়। এছাড়া দক্ষিণ ইয়ুননানের সবচেয়ে সুন্দর সেতু হিসেবে লোকেমুখে পরিচিত এই সেতু।
চিয়ানশুই টাউনে সেতু ছাড়া আরও অনেক দেখার স্থান আছে। এখানে রয়েছে বড় একটি দুর্গ প্রাসাদ। এই পর্যটন স্থানের রয়েছে সাতশ বছরের ইতিহাস। এছাড়া রয়েছে কনফুসিয়াসের মন্দির।
এখানকার পার্পল পটারি নামে খ্যাত মৃৎশিল্প ও পোর্সেলিনের কাজ বিখ্যাত। চিয়ানশুই স্ন্যাকস নামে এখানকার মুখোরোচক স্থানীয় খাবার খুব বিখ্যাত। বিশেষ করে তোফু দিয়ে তৈরি কিছু স্ন্যাকস সত্যিই মজাদার। চিয়ানশুই টাউনে ঘুরতে গেলে কারুশিল্পের কিছু সামগ্রীও কিনতে পারবেন পর্যটকরা।
তথ্য সূত্র : সিএমজি নিউজ