১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬
সর্বশেষ
গাজায় দ’খ’লদার ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত, মোট প্রাণহানি ৪৪ হাজার ছাড়াল
গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে জাতিসংঘে বিশ্বজনমতের বিজয়
কাবুলে আত্মঘাতী হামলায় তালেবান মন্ত্রী খলিল হাক্কানী নিহত
মাহমুদুল্লাহ ও তরুণ জাকিরের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে উইন্ডিজকে বড় রানের টার্গেট দিলো টাইগাররা
উইন্ডিজের বিপক্ষে মান রক্ষার লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ, আবারও ০ রানে ফিরলেন দায়িত্বজ্ঞানহীন লিটন দাস
শীতে চুলের যত্নে অ্যালোভেরার জাদু
২৩ জানুয়ারির মধ্যে বাজেট কাঠামো জমার নির্দেশ: দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনায় সরকারের পদক্ষেপ
বসুন্ধরায় শুক্রবার থেকে শুরু অ্যাম্বাসি ফুটবল ফেস্ট
বঙ্গভবনের অতিথি তালিকায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
নব অধিনায়কের অবিশ্বাস্য চমক! বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হওয়ার খুব কাছে মেহেদী মিরাজ

হামা-স সন্ত্রাসী নয়” মুক্তি*বাহিনী বললেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

আওয়ার টাইমস নিউজ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গেল (বৃহস্পতিবার) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামা-স-ইসরা-ইল যুদ্ধ নিয়ে পোপ ফ্রান্সিসের সাথে ফোনালাপে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরা-ইলের হামলা গণহত্যার পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা মানবতার জন্যে লজ্জাজনক। যুদ্ধ থামানোর বদলে পশ্চিমা দেশগুলো ইসরা-ইলকে শর্তহীনভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। গাজায় নিরীহ বেসামরিক লোকজনকে নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা করার প্রচেষ্টায় সকলের সমর্থন জানানো উচিত। স্বাধীন ফিলিস্তিনী রাষ্ট্র কায়েমের মাধ্যমেই এই সংঘাতের স্থায়ী সমাধান সম্ভব।

গেল বুধবার আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন একে পার্টির সাংসদদের সাথে বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছেন: ইসরা-ইল হামা-সকে পশ্চিমাদের সাথে তাল মিলিয়ে সন্ত্রাসী একটি সংগঠন হিসেবে দেখতে পারে। পশ্চিমারা ইসরা-ইলের কাছে অনেক ঋণী। কিন্তু তুরস্ক ইসরা-ইলের কাছে কোনো কিছুর জন্যেই ঋণী নয়। গাজার শাসকগোষ্ঠী হামা-স কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়, বরং তারা ফিলিস্তিনের মানুষ ও ভূখণ্ড রক্ষায় যুদ্ধরত একটি মুক্তিবাহিনী। তারা মুজাহিদ। ন্যাটোর অন্যান্য মিত্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো হামা-সকে আমার দেশ সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে না। ইসরা-ইল রাষ্ট্রের সাথে আমার কোনো সমস্যা নেই; কিন্তু দেশটির নীতির সাথে বিরোধ রয়েছে। গাজায় আগ্রাসনকারী ও এটার সমর্থক – উভয় পক্ষেরই খুনী আর বিকারগ্রস্ত মানসিকতার পরিচয় পেয়েছে বিশ্ব। তুরস্ক ইসরা-ইলের নিষ্ঠুরতাকে কখনও অনুমোদন দেবে না। ইসরা-ইলের আত্মরক্ষার অধিকারকে যারা সমর্থন দেয়, গাজার মানবিক বিপর্যয় নিয়েও কথা বলা উচিত তাদের। পশ্চিমা মিথ্যেবাদী শক্তিগুলো গাজায় নিষ্ঠুরতার ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রেখেছে। বাইরে থেকে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরা-ইলকে সমর্থন দিয়ে অঞ্চলটিতে উত্তেজনায় উসকানি দেওয়া বন্ধ করা উচিত। যুদ্ধবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদী শান্তির জন্যে মুসলিম দেশগুলোর কাজ করা দরকার। ফিলিস্তিনীর শান্তি ফেরাতে মুসলিম জাহানকে জলদি এক জোট হতে হবে। গাজ়ায় ইসরা-ইল নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। নারী ও শিশুরা মারা যাচ্ছে। আর পশ্চিমা দেশগুলো ইসরা-ইলের জন্যে চোখের পানি ফেলছে। এটা ওদের প্রতারণার অভিব্যক্তি। যুদ্ধবিরতির জন্যে তুরস্ক রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক পন্থা অবলম্বন করবে। আমাদের ভালো উদ্দেশ্য ছিল বৈকি। অতীতে আমি নেতানিয়াহুর সাথে করমর্দন করেছিলাম। কিন্তু তুরস্কের সদিচ্ছার অপব্যবহার করেছে ইসরা-ইল। উনি (নেতানিয়াহু) ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে চললে, আমাদের সম্পর্ক অন্য রকম হতে পারত। কিন্তু এখন, দুর্ভাগ্যবশত এটি হবে না। আমাদের ইসরা-ইল সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেটা বাতিল হয়ে গেছে। আমরা যাব না।

এরদোগানের এই বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে ইসরা-ইল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে – সন্ত্রাসী সংগঠনের পক্ষ নিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। পুরো বিশ্ব যে ভয়াবহতা দেখেছে, তা পরিবর্তন করবে না তার এসব উস্কানিমূলক কথাবার্তা।

এরদোয়ানের মন্তব্যে তাৎক্ষণিক নিন্দা জানিয়েছেন ইতালির উপ-প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি বলেছেন: আমি আমার সহকর্মী (পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও) তাজানিকে আনুষ্ঠানিক একটি প্রতিবাদ পাঠাতে এবং তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে তলব করার প্রস্তাব দেবো।

ওদিকে, গেল (বৃহস্পতিবার) ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ফেডারেশন কাউন্সিলের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা হামা-স-ইসরা-ইল যুদ্ধের ব্যাপারে বলেছেন: এ মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে যা হচ্ছে, তা মারাত্মক! কে দায়ী বা কারা ভুল, সেটা আলোচনার বিষয় নয়। সমস্যাটা হচ্ছে গাজায় যা ঘটছে, তা যুদ্ধ নয়, বরং গণহত্যা। প্রায় দু’ হাজার শিশুকে হত্যা করা হয়েছে – যাদের এই যুদ্ধের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। যারা কোনো অপরাধ না করেও ভুক্তভোগী। ওরা এই যুদ্ধের শিকার হয়েছে। যুদ্ধের ফলে নিষ্পাপ শিশুরা মারা যাবে – এটা জেনেও একজন মানুষ কীভাবে যুদ্ধ করতে পারেন, তা আমি সত্যিই জানি না। মিসরের সীমান্ত থেকে কয়েক কিঃমিঃ দূরে গাজা উপত্যকায় আটকা পড়া ব্রাজিলীয়দের প্রথম দিকে মুক্ত করে দেওয়া যেতে পারে কি না, তা দেখতে কাতারের আমিরের সাথে আমার টেলিফোনে আলোচনা হবে। গাজায় আটকা ব্রাজিলীয়রা দেশে ফিরতে চান।

এদিকে, গেল (বুধবার) লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল-ভিত্তিক সংসদ এক বিবৃতিতে বলেছে: আমরা জায়নবাদী সত্তার অপরাধের সমর্থক দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদেরকে জলদি ভূ-খণ্ড (লিবিয়া) ছাড়ার দাবি জানাচ্ছি। গাজায় জায়নবাদী দুশমনদের নির্বিচার গণহত্যা বন্ধ না হলে, আমরা (ইসরা-ইলের) সমর্থক দেশগুলোর কাছে তেল ও গ্যাস রপ্তানি স্থগিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানাব। আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স ও ইতালি গাজা উপত্যকায় অপরাধ চালাতে ইসরা-ইলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। আবার ওরা মানবাধিকার ও জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের বুলিও আওড়ায়!

সূত্র: আল-জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি, আল-মায়াদিন, দ্যা জেরুজালেম পোস্ট, হেরিটেজ, টাইমস অব ইসরা-ইল, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান, ভোয়া, পার্স টুডে ও আনন্দবাজার পত্রিকা।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১