আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় এক মাস আগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হওয়ার পরও ইসরায়েলি হামলা এবং সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে। পশ্চিম তীরজুড়ে বসতি স্থাপনকারীদের হামলাও দিন দিন আরও তীব্র আকার ধারণ করছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯,১৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুনভাবে উদ্ধার ও শনাক্ত হওয়া লাশের কারণে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও অন্তত ২৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
উত্তর গাজায় ইয়েলো লাইন সীমারেখা অতিক্রম করার অভিযোগে এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া খান ইউনিসে ইসরায়েলি বাহিনীর ফেলে দেওয়া বিস্ফোরক এক শিশুর মৃত্যুর কারণ হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গাজায় চিকিৎসা সংকট চরমে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে। সংস্থাটি জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন ব্যক্তিদের গাজা ও মিসরের মধ্যে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে বাইরে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১৬,৫০০ জন বিদেশে চিকিৎসার অপেক্ষায় রয়েছে।
পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি সেনা অভিযান ও বসতি স্থাপনকারীদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব হামলা ফিলিস্তিনিদের জমি থেকে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনার অংশ বলে অভিযোগ উঠেছে।
দক্ষিণ নাবলুসের বেইতা শহরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা জলপাই সংগ্রহে ব্যস্ত ফিলিস্তিনি গ্রামবাসী, কর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজন ৭০ বছর বয়সী কর্মী এবং সাংবাদিকও রয়েছেন। প্যালেস্টাইন জার্নালিস্টস সিন্ডিকেট এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এটিকে “সাংবাদিক হত্যার উদ্দেশ্যে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ” হিসেবে উল্লেখ করেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে অন্তত ৭০টি শহর ও গ্রামে ১২৬টি হামলা সংঘটিত হয়েছে।