আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রায় এক বছর আগে সিরিয়ায় বিদ্রোহী নেতা আহমেদ আল শারার নেতৃত্বে হায়াত তাহরির আল শামের (এইচটিএস) আকস্মিক আক্রমণের কয়েক দিনের মধ্যেই বাশার আল আসাদের শাসন পতিত হয়। এটি সিরিয়ায় দীর্ঘদিনের দুর্নীতি ও নিপীড়নের অবসান ঘটানোর সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। কিন্তু ইসরাইলের অব্যাহত হামলার কারণে নতুন সরকারের অগ্রগতি হুমকির মুখে পড়েছে।
দামেস্কের দক্ষিণাঞ্চল এখনও অস্থিতিশীল। ইসরাইলি বাহিনী নিয়মিত হামলা চালানোর ফলে স্থানীয় মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি বেইত জিনে ঘটেছে গোলাগুলির ঘটনা, যেখানে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। ইসরাইল দাবি করেছে, তারা ইসলামিক স্টেট (আইএস)কে লক্ষ্য করেছে, কিন্তু বাস্তবে স্থানীয় বেসামরিক মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা এই হামলার পর নিজেদের রক্ষা করতে হালকা অস্ত্র বহন করতে বাধ্য হচ্ছে। ইসরাইলের এই আগ্রাসী নীতি স্থানীয় মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করছে এবং অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্য প্রমাণ করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন সরকারের কাজের প্রশংসা করেছেন এবং ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছেন, সিরিয়ার অগ্রগতি ব্যাহত করতে যেন তারা কোনো কর্মকাণ্ড না চালায়। এছাড়াও সিরিয়ার ওপর থেকে কিছু মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে এবং আরব দেশগুলো বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে। ফলে সিরিয়া ধীরে ধীরে স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে ওঠার পথে এগোচ্ছে।