আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, চার দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হবার পর, গাজায় আবারও হামলা চালানো হবে। আরও অন্তত দু’ মাস হামাসের বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের বাহিনী। এটি সাময়িক বিরতি। বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ নেই। এ বিরতিতে সেনাদের প্রস্তুতি নিতে, তদন্ত করতে, আরও অস্ত্র সরবরাহ করতে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্যে তৈরী হতে হবে। জলদি আবার মাঠে নামতে হবে। হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই শেষ হয়নি। যুদ্ধ চলমান একটি প্রক্রিয়া। আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে চাই। কেননা, শুধু চাপ প্রয়োগের জেরেই জিম্মিরা আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।
অন্যদিকে, শুক্রবার হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন: প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের মাতৃভূমি পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। দখলদার ইহুদিবাদী শত্রু ইসরাইল বাজি ধরেছিল যে, বন্দুকের জোরে গণহত্যা চালিয়ে তাদের বন্দীদেরকে তারা মুক্ত করতে পারবে। কিন্তু প্রায় ৫০ দিন পর তারা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের শর্ত মেনে তাদের বন্দীদেরকে মুক্ত করতে বাধ্য হয়েছে। হামাসের দেয়া শর্তেই যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে তেল আবিব। চার দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হবার পর, ইসরাইলের সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হামাস পুরো প্রস্তুত রয়েছে। হামাস গাজা উপত্যকায় নিজের অবস্থান থেকে একচুলও নড়বে না আর যুদ্ধ শেষ হলে এই উপত্যকার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ব্যাপারে কোনো বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপও মেনে নেবে না। ইহুদিবাদী ইসরাইল যতক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি মেনে চলবে, ততক্ষণ প্রতিরোধ যোদ্ধারাও চুক্তির প্রতি অবিচল থাকবে। গাজা উপত্যকা ও অধিকৃত ভূখণ্ডের ফিলিস্তিনিরা গত সাত সপ্তাহ ধরে যে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন, সেজন্য কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয় তাদের জন্যে। যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করায় কাতার ও মিশরকে ধন্যবাদ। গাজাবাসীর সমর্থনে লড়াই করায় লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সূত্র: আল-জাজিরা, এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স, প্রেসটিভি, সিনহুয়া ইত্যাদি।