আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শীতের মৌসুমে অসাধারণ মনোমুগ্ধকর চ এ জায়গাটি এক ভিন্নরকম মোহ তৈরি করে চারপাশে। এমন পরিবেশ পেলে, ভীষণ কনকনে শীতেও ইচ্ছে করবে, দুর্গম পাহাড়ের পানে ছুটে যেতে। চীনের প্রসিদ্ধ নদী ইয়াংচির তীর বেয়ে বেড়ে ওঠা এই অঞ্চলটিতে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য রয়েছে।
গত বছর থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটির লক্ষ্য দেশের দীর্ঘতম নদী বরাবর গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত অঞ্চলগুলো চিহ্নিত করা এবং সেই অঞ্চলগুলোতে কঠোর সুরক্ষা প্রয়োগ করা। ৫ লাখেরও বেশি বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ল্যান্ড স্পেস প্ল্যানিং ব্যুরোর ডেপুটি হেড লি ফেং জানিয়েছেন তার অভিজ্ঞতার কথা।
চীনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ল্যান্ড স্পেস প্ল্যানিং ব্যুরোর ডেপুটি হেড লি ফেং জানান, “এটি মূলত সমস্ত জীববৈচিত্র্য-সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে, যার মধ্যে রয়েছে বিরল এবং বিপন্ন বন্য প্রাণী, উদ্ভিদের আবাসস্থল যেমন চাইনিজ অ্যালিগেটর, গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি, হিমবাহ এবং স্থায়ী তুষার, গুরুত্বপূর্ণ নদীর উত্স এবং উপরের সীমানা এবং সামুদ্রিক ম্যানগ্রোভ।“
স্থানীয়ভাবে মূলত পর্বতমালা এবং গুরুত্বপূর্ণ হ্রদগুলোকে সুরক্ষার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। চীনের ল্যান্ড সার্ভেয়িং অ্যান্ড প্ল্যানিং ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ফেং ওয়েনলি বলেন, “ইয়াংচি নদীর অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য পরিবেশগত সুরক্ষা লাইনে তার মোট এলাকার ৬৫ শতাংশ রয়েছে উজানের প্রদেশ। যেমন সিচুয়ান, ইউনান, এবং কুইচো প্রদেশ। এসব এলাকায় পরিবেশগত সুরক্ষার প্রচেষ্টা নিরীক্ষণ এবং কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য বায়ু, মহাকাশ, স্থল এবং অনলাইন প্রযুক্তিগত পন্থাগুলোকে একীভূত করে।
সূত্রঃ চীনা গণমাধ্যম