আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ স্লোগানের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার একটা কথা নিয়ে তারা কতদিন প্রতিবাদ করলো। কী কথা? আমি বলেছিলাম, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মেধাবী না, তো রাজাকারের সন্তানরা মেধাবী?! বিকেল ৪টায় প্রেস কনফারেন্সে বললাম, রাত ১১টার দিকে দেখলাম অনেক ছেলেরা হল থেকে বের হয়ে এসেছে। মেয়েরাও হল থেকে বের হয়ে এসেছে। তাদের স্লোগানটা কী ছিল? ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার, রাজাকার, তোমার বাবা আমার বাবা রাজাকার রাজাকার’— তার মানে তারা নিজেদেরকে নিজেরাই রাজাকার হিসেবে প্রমাণ করে দিলো। আমি তো তাদের রাজাকার বলিনি, বরং তারা নিজেরা নিজেদের রাজাকার পরিচয় দিলো।
সম্প্রতি সময়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন বিটিভির ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনে গিয়ে আজ শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালের দিকে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তারা নিজেরাই নিজেদের রাজাকার হিসেবে স্লোগান দিয়ে পরিচিত করলো সকলের কাছে। এটারই প্রতিবাদ কিন্তু সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ করেছিল। এমন কোনো শ্রেণির মানুষ নেই যারা এর প্রতিবাদ করেনি। এরপরই তারা স্লোগান পরিবর্তন করলো, তখন বললো চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার। আরে রাজাকার তো আমি তোমাদের করি নাই। তোমরা নিজেরাই স্লোগান দিয়ে তোমাদের রাজাকার করেছো। তোমরা স্লোগান দিয়ে পরিচিত করেছো তোমাদের বাবাও রাজাকার। এটি তোমরাই করেছো।
ছাত্রদের একটার পর একটা আবদার। তারা যা চেয়েছে তার চেয়ে বেশি আমরা দিয়েছি। মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, মুক্তিযুদ্ধে এসব নিয়েই যেন তাদের বেশি ক্ষোভ। আমার কথাটাকে বিকৃত করা হয়েছে। তারপর কোটা না মেধা, মেধা না কোটা… কোটা ও মেধার মধ্যে তফাৎটা কী আছে? প্রথমে প্রিলিমিনারি, এরপর লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়। তারপর ভাইবা নিয়ে পদায়ন করা হয়। তখন কোটা ভাগ করা হয়। তো এখানেও তো মেধাই প্রয়োগ করা হলো।