আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারাটাকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম এবং বড় ধরনের ব্যর্থতা বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। একইসঙ্গে সরকার গঠনের পর হতাহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করতে না পারাকেও অন্যতম ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সরকারের স্বাস্থ্যবিভাগের নিন্দা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচিত এ সমন্বয়ক।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রতিনিধি দল রাজধানীতে ছয়টি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। হাসপাতালগুলো হলো- জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল, উত্তরা বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে হাসপাতালে পরিদর্শন কর্মসূচিও দিয়েছে তারা।
গত সোমবার সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যন্স উইক’ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার ‘স্ট্যান্ড উইথ দ্য ইনজুরড’ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে, আজকে অনেক দিন হয়ে গিয়েছে। এতদিনেও আহতদের আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারা এবং হতাহতদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করতে না পারাকে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত করতে চাই।
এ সময় হাসনাত আরো বলেন, সরকারের উচিত ছিল শুরুতেই এসে যারা আহত হয়েছেন এবং যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের জন্য তাৎক্ষণিক সমাধান নিশ্চিত করা। আজ পর্যন্ত আমরা হতাহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাইনি। আমরা শিক্ষার্থীরা আহতদের খোঁজ নিচ্ছি। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখছি না। সেজন্য আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের নিন্দা জানাচ্ছি।