আওয়ার টাইমস নিউজ।
সিনিয়র করেসপন্ডেন্টঃ হুসাইন আল আজাদ।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সাবেক স্বৈরাচার খ্যাত আওয়ামী সরকারের বিশেষ চাটুকার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক গতকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জালে আটকা পড়ে যায়।
বাংলাদেশ বিজিবি সদর দপ্তর থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়।
সাবিক বিচারপতি মানিককে আটকের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই টিভির টকশোতে বিরোধী দলীয় নেতা কর্মী ও বিভিন্ন টিভি উপস্থাপকদের সাথে তার দাম্ভিক অহংকারী বীভৎস খারাপ আচরণের বিষয়গুলো সামনে এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা তার প্রতি তীব্র ঘৃনা প্রকাশ করে পোস্ট করতে থাকে। অনেকেই লিখেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে নি’কৃষ্ট ভ’য়ংকর খুনি সাবেক স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের একজন নির্লজ্জ চাটুকার ছিলেন এই মানিক। যিনি বহু নিরপরাধ মানুষের জীবনকে অবৈধ বল প্রয়োগের মাধ্যমে ধ্বংস করে দিয়েছে।
আজ তাকে সামান্য কলা পাতায় শুয়ে থাকতে দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। এমন নির্লজ্জ, ভয়ংকর পরিণতিই তার সঙ্গে বেশ মানায়।
এদিকে আটকের পর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কলাপাতায় শুয়ে থাকা অবস্থায় তার সামনে অবস্থান করা লোকদেরকে বিচারপতি মানিক বলছেন, আমি তোমাদের পয়সা দিয়ে দেব। পয়সা আমি দেব, আমার ভাই-বোন দেবে।
জবাবে তাদের মধ্যে একজনকে (যাকে ভিডিওতে দেখা যায়নি) বলতে শোনা যায়, আমাদের পয়সার প্রয়োজন নাই। এরপর মানিককে বলতে শোনা যায়, ওই ফালতু লোক দুটাকে আনিও না। আমি এ দেশে এসেছি কি বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার জন্য??
এই ভিডিওটি যে আসলেই ভারতের ভেতরকার তার প্রমাণ পাওয়া যায় বিজিবির হাতে বিচারপতি মানিক আটক হওয়ার পরের আরেকটি ভিডিওতে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবি সদস্যদের কাছে মানিক স্বীকার করেছেন, তিনি ১৫ হাজার টাকার কন্টাক্টে ভারতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দুজন লোক ভারতের ভেতরে নিয়ে তাকে মারধর করে ৬০-৭০ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
আরো একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্যান্ট ও হাফ শার্ট পরিহিত শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক শুয়ে আছেন জঙ্গল এলাকায় কলাপাতার ওপর। তার কোলের কাছে একটি টুপি। মুখে কয়েক দিনের না কাটা দাড়ি। পাশে রয়েছে ছোট কয়েকটি পোটলা।
এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি অবসরে যান। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও টেলিভিশন টকশোতে সাবেক আওয়ামী সরকারের পক্ষ হয়ে কথা বলতেন তিনি।