স্পেশাল করেসপন্ডেন্টঃ হুসাইন আল আজাদ।
(আওয়ার টাইমস নিউজ)
গত ৫ আগষ্ট এ দেশের কোটি কোটি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে বন্ধু দেশ ভারতে পালিয়ে যায়
স্বৈরাচার খ্যাত সাবেক খুনি শেখ হাসিনা সরকার।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক দিনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে রাজধানীতে লাখ লাখ ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে ‘শহীদী মার্চ’ শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শহীদী মার্চের পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি, মাদরাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সীমাহীন উৎসাহ উদ্দীপনা ও বিজয়ের মহা আনন্দ নিয়ে অংশগ্রহণ করেন৷
মার্চটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে নীলক্ষেত-সায়েন্সল্যাব-কলাবাগান-সংসদ ভবন-ফার্মগেইট- কারওয়ান বাজার-শাহবাগ-রাজু ভাস্কর্য হয়ে শহীদ মিনারে সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বিভিন্ন মাদ্রাসা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন, পরে সেখান থেকে বিশাল বড় মিছিল নিয়ে শহীদী মার্চ শুরু হয়৷
এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিকে থাকেন ‘সফল হোক সফল হোক, শহীদী মার্চ সফল হোক’ ‘শহীদদের কারণে, ভয় করি না মরণে’, আবু সাঈদ/শহীদের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না’, ‘আজকের এই দিনে আবু সাঈদ/শহীদদের মনে পড়ে’ এমন স্লোগানে মুখরিত হয় সেখানকার আশপাশ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ঠিক এক মাস আগে আমরা স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার পতন ঘটিয়ে নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছিলাম৷ এই স্বাধীনতার বিনিময়ে আমাদের হাজারো ছাত্র-জনতাকে জীবন দিতে হয়েছিল। হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা গুরুত্বরভাবে আহত হয়েছেন। অনেকেই আজীবন পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, অনেকে এখনো হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। আমরা সেসব শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আজ এ স্বাধীন দেশ উপহার পেয়েছি।