আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার খ্যাত সাবেক শেখ হাসিনা সরকার ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পাঁচ দিন আগেই ফ্যাসিবাদী হাসিনা কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন বাইতুল মোকাররম মসজিদ কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়েই নিজ জেলা গোপালগঞ্জে আত্মগোপনে চলে যায়।
পরবর্তীতে বায়তুল মোকাররমের নতুন খতিব নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়, গত ৫ আগষ্ট কাউকে কিছু না জানিয়ে আত্মগোপনে চলে যান বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন। সে কারণে শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ানোর জন্য নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে পালিয়ে থাকার পর শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ করে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে উপস্থিত হন মাওলানা রুহুল আমিন, এ সময় মসজিদের মিম্বরে বসে বয়ান করছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নতুন করে দায়িত্ব পাওয়া খতিব মাওলানা ওয়ালীউর রহমান। এরপর আওয়ামী পন্থী খতিব রুহুল আমিন, তার অনুসারীদের নিয়ে মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে মুসল্লিদের সামনেই মনুষ্যত্বহীন সন্ত্রাসী কায়দায় বয়ানরত অবস্থায় থাকা মাওলানা ওয়ালিউর রহমানের হাত থেকে মাইক কেড়ে নেয়, এ সময় মসজিদের ভিতরে থাকা মুসল্লিদের সাথে রুহুল আমিনের আওয়ামী পন্থী অনুসারীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বেঁধে যায়, এ সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মুসল্লিকে পিটিয়ে আহত করে ফ্যাসিবাদীদের ধূসর মাওলানা রুহুল আমিনের আওয়ামী পন্থী অনুসারীরা।
এরপর মসজিদে থাকা সকল মুসল্লিদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে জুমার নামাজ না পড়িয়েই অনুসারীদের নিয়ে পালিয়ে যায় মনুষ্যত্বহীন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মূল হোতা স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পন্থী এ খতিব।
এদিকে নামাজ শেষে সাধারণ মুসল্লিরা মাওলানা রুহুল আমিন এবং তার অনুসারীদের এমন লজ্জাজনক আচরণকে মানুষত্বহীন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করেছে। এসময় অনেক বাইতুল মোকাররমে আগত মুসল্লিরা ভীষণ দুঃখের সাথে আওয়ার টাইমস নিউজকে বলেন, একজন আলেম হয়ে কিভাবে মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে অন্য একজন বিজ্ঞ আলেমের হাত থেকে জোর করে অসম্মানজনক ভাবে মাইক কেড়ে নেয়, এমন নেক্কারজনক ঘটনা কোন আলেম ঘটাতে পারে না, এটি সত্যিই মনুষত্বহীন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা অন্তবর্তী সরকারকে বলবো অনতিবিলম্বে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের এ পা চাটা ধূসর মাওলানা রুহুল আমিন ও তার অনুসারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।