১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৫ই শাবান, ১৪৪৬
সর্বশেষ
বাংলাদেশ থেকে নেপালে রপ্তানি হলো ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু
মোদির কাছে ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ: ট্রাম্পের মূর্তিবদ্ধ মন্তব্য, “আমি এটা মোদির হাতে ছেড়ে দেব”
তেঁতুলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়, সত্যিই কি তাই? জানুন এর সত্যতা কতটুকু
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইলন মাস্কের ভার্চুয়াল বৈঠক: নতুন দিগন্তের ইঙ্গিত?
শবে বরাত উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে দোয়া ও ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন
আজ পবিত্র শবে বরাত, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের রাত
পুতিন-ট্রাম্প ফোনালাপে ইউক্রেন যুদ্ধের শেষ, শান্তির নতুন আশা!
ইসরায়েলি রোগীদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকার, অস্ট্রেলিয়ায় দুই স্বাস্থ্যকর্মী বরখাস্ত

এবারের জাতিসংঘ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কেন?

আওয়ার টাইমস নিউজ।

নিউজ ডেস্ক: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন এক সময় জাতিসংঘের এই অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন, যার মাত্র দেড় মাস আগে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশকে শাসন করা স্বৈরাচার খ্যাত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলকে দেশের সাধারণ ছাত্র জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রায় ১৪ শত ছাত্র জনতার জীবনের বিনিময়ে গত ৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দেশকে নতুন করে সংস্কারের দায়িত্ব দিয়েছেন। ফলে এবারের জাতিসংঘ অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য একটা ভিন্ন রকম গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন হতে যাচ্ছে।

গত ৫ আগষ্ট সাবেক শেখ হাসিনা সরকার ভারতে পালিয়ে যাওয়া এবং ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর বাংলাদেশ এবার নতুন স্বপ্ন নিয়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছে।

এর আগে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা অনেক দেশের সাথে বাংলাদেশের একপ্রকার টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বাংলাদেশের পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করে আসছিল। ফলে এই সম্মেলনকে বাংলাদেশের জন্য ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি প্রেক্ষাপট হিসাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

এমন মনোভাব পরিষ্কার হয়েছে অন্তবর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের বক্তব্যেও। তিনি বলেছেন, ‘এবারের অধিবেশন দেশের জন্য বিশ্বসভায় নতুন পদচারণা এবং বিশ্ব দরবারে নতুনভাবে বাংলাদেশকে তুলে ধরার বিশাল একটি সুযোগ। বাংলাদেশে জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ায় এবারের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বাংলাদেশ একটি উচ্চ পর্যায়ের রিসেপশন আয়োজন করেছে যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান, জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা, কিছু সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান অংশ নেবেন।

এদিকে রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ূন কবির ধারণা দিয়েছেন, এবারের অধিবেশনে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপট, এই মুহূর্তে কী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন, ভবিষ্যতে তারা কী করতে চান, এ বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরা এবং তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আহ্বান জানানো হতে পারে। ড. ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া এবং বাংলাদেশের হয়ে কথা বলাটা একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

এখন সময়ই বলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড, মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের পূর্ণ আস্থার প্রতিদান তিনি কতটুকু দিতে পারেন।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত