
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাট বল হাতে আর কোনদিন দেখা যাবে না সাবেক বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে।
সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরমেটে ইতোমধ্যে তিনি তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। ২০২৪ ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটিই ছিল এ সংস্করণে তার জীবনের শেষ টি টোয়েন্টি ম্যাচ।
এদিকে টেষ্ট ক্রিকেটকেও বিদায় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাকিব। তবে তিনি জানিয়েছেন,নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে ঢাকায় ফিরে আগামী মাসে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে এখন দলের সাথে ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে দলের সাথে রয়েছেন সাকিব। সেখানেই ম্যাচ পূর্ববর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণা দেন সাকিব। তবে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পেলে সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে ঢাকায় আসবেন না। তবে সম্ভাব্য ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টেই সাকিবের জীবনের সর্বশেষ টেস্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ২০২৫ পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেট খেলে যাবেন সাকিব।আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর একদিনের ক্রিকেটকেও বিদায় জানাবেন সাকিব আল হাসান।
এদিকে সাকিবের এমন আকস্মিক বিদায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
অনেকেই সাকিবের এমন নিরাপত্তাহীন জীবনের জন্য আওয়ামী সরকারের অপরাজনীতিতে যোগ দেওয়াকে দায়ি করছেন। স্বাধীন নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, সাকিব আল হাসান যদি ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের অপরাজনীতিতে যোগ না দিতেন, তাহলে সাকিবের ক্রিকেট থেকে বিদায়ের দিনটি হতো মহাসম্মানের ইতিহাস। নিজের ভুলের কারণেই আজ সাকিবের বিদায়ের বেলায় অনেকই তাকে নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেন এবং তার বিচার দাবি করছেন।