আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়ায় বাজার থেকে লাকড়ি আনতে যাওয়ার পথে ভয়ং’কর ঘাতক ভিমরুলের কামড়ে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বাবা আবুল কাশেম (৪৮) মেয়ে লাবিবা আক্তার (৮) এবং সর্বশেষ গুরুতর আহত ছেলে সিফাত উল্লাহও (৬) ও মারা গিয়েছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে ময়মনসিংহ জেলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ,মারা যায় সিফাত। এর আগে, দুপুরের দিকে আবুল কাশেম ও বিকেল ৩টায় তার মেয়ে লাবিবা মারা যায়।
মৃত আবুল কাশেম ধোবাউড়া উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের দুধনই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুধনই বাজার জামে মসজিদে ইমামতি করতেন এবং মেয়ে লাবিবা ইদরাতুল কুরআন মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়তো।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন সরকার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, শনিবার লাকড়ি আনার জন্য মেয়ে লাবিবা ও ছেলে সিফাতকে নিয়ে বন্যার পানিতে নৌকা দিয়ে স্থানীয় বাজারে যাচ্ছিলেন আবুল কাশেম। বাড়ির পাশেই একটি বাঁশঝাড়ে নৌকা আটকে যায়। এসময় নৌকার মাঝির বাঁশের আঘাতে ভিমরুলের বাসা ভেঙে গেলে ভয়ংকরভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা, ছেলে এবং মেয়ের ওপর আক্রমণ শুরু করে ভিমরুলের দল। এ সময় তিন জনই গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় সেখানকার স্থানীয়রা। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আবুল কাশেম ও ছেলে সিফাতকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুরের দিকে আবুল কাশেম মারা যান। এরপর বিকেল ৩টায় ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায় মেয়ে লাবিবা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছেলে সিফাত উল্লাহকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যায় ৬ বছর বয়সী মেয়েটিও। এ ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।