আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হওয়া পৃথক মামলায় স্বৈরাচার খ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তা আইজিপি মো. ময়নুল ইসলামের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন–শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক,ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেক ডিএমপি হাবিবুর রহমান, দীপু মনি, আকম মোজাম্মেল হক, সাবেক মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, সাবেক র্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারেক আনাম সিদ্দিকী, বিচারপতি মানিক, ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। অপর দুই বিচারপতি হলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে পৃথক মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, সংস্কার কাজ শেষে আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনে বিচারকাজ শুরু করা যাবে বলে জানা গেছে।
তথ্য সূত্রঃ আর-টিভি