আন্তর্জাতিক নিউজ করেসপন্ডেন্ট: হুসাইন আজাদ।
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে পরিচালিত পৃথিবীর ইতিহাসে স’বচেয়ে নি’কৃষ্ট ব’র্বর হিং’স্র হা’য়েনা দ’খ’লদার ই’হু’দী জাতি ই’স’রাইলি সামরিক বাহিনীর অভিযানে রীতিমত ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা শহরটি। যা পুনর্গঠন করতে ৩৫০ বছর সময় লাগতে পারে বলে দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করে আসছিল জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাগুলো।
অবরুদ্ধ গাজায় চালানো দ’খলদার হা’য়েনা ই’সরাইলের অভিযান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে মারাত্মক ও বিধ্বংসী সামরিক অভিযানের একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধের এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে এবং একটি নতুন প্রতিবেদন শতাব্দীর দৃষ্টিকোণ থেকে কথা বলছে। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন (ইউএনসিটিএডি) গত সোমবার এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
যেখানে বলা হয়েছে, যদি যুদ্ধ কালই শেষ হয়ে যায় এবং গাজা আবার ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের আগের অবস্থায় ফেরেও, তবুও গাজার বিধ্বস্ত অর্থনীতি তার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে ৩৫০ বছরের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরা চলা এই যুদ্ধের আগে গাজা ইসরাইল এবং মিশরের অবরোধের অধীনে ছিল। ২০০৭ সালে হামাস ক্ষমতা গ্রহণ করার পরই এ অবরোধ আরোপ করা হয়।
এর আগে চারটি যুদ্ধ এবং পশ্চিম তীরে পশ্চিমা সমর্থিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (ফাতাহ) এবং হামাসের মধ্যকার বিভাজনও গাজার অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
বর্তমান যুদ্ধ গাজার বিভিন্ন এলাকায় বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ বয়ে এনেছে। একেকটা পাড়া মহল্লা ধরে ধরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। গোটা জনপদের রাস্তাঘাট এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় উপত্যকাটির পুনর্গঠন শুরুর আগে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ এবং অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ সরাতে হবে। যা একটি বিশাল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির জনগণের সাধারণ জীবন যাপনের জন্য।