আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: স্বৈরাচার খ্যাত সাবেক আওয়ামী সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর একটানা ক্ষমতায় ছিল। এ সময়ের মধ্যে দলটির বিরুদ্ধে গুম-খুন ও ভোটাধিকার হরণের অভিযোগ রয়েছে। সবশেষ কোটা বিরোধী আন্দোলন দমনে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতার ওপর গণহত্যার চালানোর অভিযোগও উঠেছে দলটির বিরুদ্ধে।
গত পাঁচ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে মুখে ভারতে পালিয়ে যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবং এখন পর্যন্ত দলটির সাধারণ সম্পাদকেরও কোনও হদিস নেই। এছাড়াও, শীর্ষ নেতাদের বেশিরভাগই রয়েছেন পলাতক অবস্থায়। আবার কেউ কেউ জেলে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ফেসবুকের ভেরিফাইড পেজে সক্রিয় রয়েছে দলটি নেতাকর্মীরা। মাঝে মাঝে বিচ্ছিন্নভাবে কেউ কেউ ফেসবুকে পোস্টও দিচ্ছেন।
এদিকে, গত ১৫ বছরে দলটির বিরুদ্ধে হাজার হাজার লক্ষ কোটি টাকা দুর্নীতি সহ গুম খুন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরইমধ্যে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন, আওয়াম লীগ সাধারণ ছাত্র ও জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। বিশ্বে এমন দলকে নিষিদ্ধ করার উদহরণ রয়েছে। যেমন জার্মানির নাৎসি পার্টি, মুসোলিনির ফ্যাসিস্ট পার্টির রাজনীতি করার অধিকার নেই। এক্ষেত্রে সকল পক্ষের সম্মতি পাওয়া গেলে দলটিকে নিষিদ্ধের কথা ভাবা হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের রায়কে মেনে নিচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
অপরদিকে, দল নিষিদ্ধ করা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন মত রয়েছে। বিএনপির মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতারা বলছেন, তারা রাজনৈতিক অধিকার হরণের পক্ষে নন।
এ বিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, নিজেদের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের রায় মেনে নিতে না চাইলে ঐতিহাসিকভাবে তাদের ভুগতে হবে। জনগণ ভোটের মাঠে তাদের প্রত্যাখ্যান করতে পারে।
,