আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কোন সন্দেহ নেই যে, সাকিব বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। সাকিব নিজের অলরাউন্ডাল পারফরম্যান্স দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে মাতিয়েছেন, এবং নিজের স্বমহিমায় নিজেকে ক্রিকেট প্রেমিদের সামনে তুলে ধরেছেন এক ভিন্নরকম ক্রিকেটার হিসেবে। তবে এসব কিছু এখন শুধু অতীত হয়েই পড়ে আছেন?
হাঁ, বাংলার অধিকাংশ ক্রিকেটপ্রেমীরা মনে করছেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে সাকিব নিজের ১৮ বছরের সুখময় সম্মানের ক্রিকেট ক্যারিয়ার কে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছেন। এখন তিনি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে দেশছাড়া। গত জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী খ্যাত সাবেক হাসিনা সরকারের সহযোগী হিসেবে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফলে তিনি নিরাপত্তার অভাবে দেশেও আসতে পারছেন না।
এবার নতুন করে দুঃসংবাদ পেল সাকিব আল হাসান, বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ’আইসিসি’ সাকিব আল হাসানের নাম একদিনের (ওয়ানডে) ক্রিকেটের অলরাউন্ডারের নামের তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।
তবে প্রশ্ন উঠেছে একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর না নেয়ার পরও কেন সাকিবের নাম অলরাউন্ডারের তালিকা থেকে সরিয়ে নিলো আইসিসি?
এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি জানিয়েছে, তারা সাকিবের নামটা র্যাঙ্কিং থেকে সরিয়েছে নিয়ম মেনেই। কোনো নির্দিষ্ট ফরম্যাটে এক বছর ম্যাচ না খেললে আইসিসির চলমান র্যাঙ্ককিংয়ের তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলা হয় নাম। একই ঘটনা ঘটেছে সাকিবের ক্ষেত্রেও। ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর ভারত বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সাথে আলোচিত টাইমড আউটের সেই ম্যাচ। এরপর লাল সবুজের জার্সিতে আর ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেননি সাকিব।
সাকিব অবশ্য একটি ম্যাচ খেললেই আবারও ঢুকে পড়বেন আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ে। তবে রাজনৈতিক দোলাচলের পর দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান আর উইন্ডিজ সিরিজেও দেখা নেই সাকিবের। তাই ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে সাকিব কি আদৌ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি খেলতে পারবে? নাকি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে নিজের গৌরবময় ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছেন সাকিব। সময়ই প্রশ্নের উত্তর দিবে, এখন শুধু অপেক্ষার পালা।