১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬
সর্বশেষ
গাজায় দ’খ’লদার ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত, মোট প্রাণহানি ৪৪ হাজার ছাড়াল
গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে জাতিসংঘে বিশ্বজনমতের বিজয়
কাবুলে আত্মঘাতী হামলায় তালেবান মন্ত্রী খলিল হাক্কানী নিহত
মাহমুদুল্লাহ ও তরুণ জাকিরের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে উইন্ডিজকে বড় রানের টার্গেট দিলো টাইগাররা
উইন্ডিজের বিপক্ষে মান রক্ষার লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ, আবারও ০ রানে ফিরলেন দায়িত্বজ্ঞানহীন লিটন দাস
শীতে চুলের যত্নে অ্যালোভেরার জাদু
২৩ জানুয়ারির মধ্যে বাজেট কাঠামো জমার নির্দেশ: দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনায় সরকারের পদক্ষেপ
বসুন্ধরায় শুক্রবার থেকে শুরু অ্যাম্বাসি ফুটবল ফেস্ট
বঙ্গভবনের অতিথি তালিকায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
নব অধিনায়কের অবিশ্বাস্য চমক! বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হওয়ার খুব কাছে মেহেদী মিরাজ

হযরত আদম (আ:) ও হাওয়া (আ:) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী।

আওয়ার টাইমস নিউজ।

ইসলামী ডেস্ক:
ইসলামের ইতিহাসে মানবজাতির প্রথম পিতা ও মাতা হিসেবে পরিচিত হযরত আদম (আ.) এবং হাওয়া (আ.)। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন ও হাদিসে তাঁদের সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। তাদের জীবনী সংক্ষেপে নিম্নরূপ:

হযরত আদম (আ.) এর সৃষ্টি:
আল্লাহ তাআলা মাটি থেকে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেন এবং তার মধ্যে নিজের রূহ ফুঁকে দেন। আল্লাহ আদম (আ.)-কে নাম, জ্ঞান ও সৃষ্টির রহস্য শিক্ষা দেন, যা ফেরেশতাদের দেওয়া হয়নি। ফেরেশতারা আদম (আ.)-এর প্রতি সিজদা করেন, কিন্তু ইবলিস (শয়তান) অহংকার করে এবং সিজদা করতে আপত্তি করেন। এর ফলে শয়তানকে জান্নাত থেকে বহিষ্কৃত করা হয়।

হাওয়া (আ.) এর সৃষ্টি:
আল্লাহ আদম (আ.)-এর একাকীত্ব দূর করার জন্য তাঁর পাঁজরের হাড় থেকে হাওয়া (আ.)-কে সৃষ্টি করেন। পরে হাওয়া (আ.) আদম (আ.)-এর জীবনসঙ্গিনী হন এবং তাদের জান্নাতে রাখা হয়।

জান্নাত থেকে পৃথিবীতে আগমন:
আল্লাহ তাআলা জান্নাতে আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে থাকতে দেন এবং সমস্ত কিছু ভোগ করতে বলেন, তবে একটি নির্দিষ্ট গাছে ফল খেতে আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেন। শয়তানের প্ররোচনায় তারা ওই গাছের ফল খান। এতে তাদের ভুল হয়ে যায়। পরে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, এবং আল্লাহ তাঁদের ক্ষমা করেন। তবে তাঁদের পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়।

পৃথিবীতে জীবন:
আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) পৃথিবীতে বসবাস শুরু করেন এবং মানবজাতির প্রজন্মের সূচনা করেন। তাঁদের সন্তানদের মধ্যে হাবিল ও কাবিলের ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আদম (আ.) মানবজাতিকে আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবনযাপন করতে শিখিয়েছিলেন।

মৃত্যু:
আদম (আ.) প্রায় ৯৬০ বছর বেঁচে ছিলেন বলে ইসলামী ইতিহাসে বর্ণিত আছে। তার মৃত্যুর পর তাকে কবর দেওয়া হয়, যা কবর দেওয়ার প্রথার সূচনা বলে বিবেচিত।

(আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-এর জীবনী মানবজাতির জন্য আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, ক্ষমা চাওয়া এবং শয়তানের প্ররোচনা থেকে সাবধান থাকার শিক্ষা দেয়।)

সূত্রঃ ইসলামী গ্রন্থ।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১