আওয়ার টাইমস নিউজ।
ইসলামী ডেস্ক:
ইসলামের ইতিহাসে মানবজাতির প্রথম পিতা ও মাতা হিসেবে পরিচিত হযরত আদম (আ.) এবং হাওয়া (আ.)। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন ও হাদিসে তাঁদের সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। তাদের জীবনী সংক্ষেপে নিম্নরূপ:
হযরত আদম (আ.) এর সৃষ্টি:
আল্লাহ তাআলা মাটি থেকে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেন এবং তার মধ্যে নিজের রূহ ফুঁকে দেন। আল্লাহ আদম (আ.)-কে নাম, জ্ঞান ও সৃষ্টির রহস্য শিক্ষা দেন, যা ফেরেশতাদের দেওয়া হয়নি। ফেরেশতারা আদম (আ.)-এর প্রতি সিজদা করেন, কিন্তু ইবলিস (শয়তান) অহংকার করে এবং সিজদা করতে আপত্তি করেন। এর ফলে শয়তানকে জান্নাত থেকে বহিষ্কৃত করা হয়।
হাওয়া (আ.) এর সৃষ্টি:
আল্লাহ আদম (আ.)-এর একাকীত্ব দূর করার জন্য তাঁর পাঁজরের হাড় থেকে হাওয়া (আ.)-কে সৃষ্টি করেন। পরে হাওয়া (আ.) আদম (আ.)-এর জীবনসঙ্গিনী হন এবং তাদের জান্নাতে রাখা হয়।
জান্নাত থেকে পৃথিবীতে আগমন:
আল্লাহ তাআলা জান্নাতে আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে থাকতে দেন এবং সমস্ত কিছু ভোগ করতে বলেন, তবে একটি নির্দিষ্ট গাছে ফল খেতে আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেন। শয়তানের প্ররোচনায় তারা ওই গাছের ফল খান। এতে তাদের ভুল হয়ে যায়। পরে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, এবং আল্লাহ তাঁদের ক্ষমা করেন। তবে তাঁদের পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়।
পৃথিবীতে জীবন:
আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) পৃথিবীতে বসবাস শুরু করেন এবং মানবজাতির প্রজন্মের সূচনা করেন। তাঁদের সন্তানদের মধ্যে হাবিল ও কাবিলের ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আদম (আ.) মানবজাতিকে আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবনযাপন করতে শিখিয়েছিলেন।
মৃত্যু:
আদম (আ.) প্রায় ৯৬০ বছর বেঁচে ছিলেন বলে ইসলামী ইতিহাসে বর্ণিত আছে। তার মৃত্যুর পর তাকে কবর দেওয়া হয়, যা কবর দেওয়ার প্রথার সূচনা বলে বিবেচিত।
(আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-এর জীবনী মানবজাতির জন্য আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, ক্ষমা চাওয়া এবং শয়তানের প্ররোচনা থেকে সাবধান থাকার শিক্ষা দেয়।)
সূত্রঃ ইসলামী গ্রন্থ।