আওয়ার টাইমস নিউজ।
ইসলামী ডেস্ক: সূরা ইয়াসিন পবিত্র কুরআনের ৩৬তম সূরা, যার রয়েছে অসংখ্য ফজিলত ও বিশেষ গুরুত্ব। এই সূরাটি পবিত্র মক্কায় অবতীর্ণ। যাতে রয়েছে মোট ৮৩টি আয়াত। একে কুরআনের “হৃদয়” হিসেবেও উল্লেখ করা হয়, কারণ এই সূরাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও উপদেশ প্রদান করে। নিচে সূরা ইয়াসিনের কিছু ফজিলত ও বিশেষ দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো:
১.কুরআনের হৃদয়:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“সবকিছুর একটি হৃদয় থাকে, আর কুরআনের হৃদয় হলো সূরা ইয়াসিন।” (তিরমিজি)
কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, তার পাপ মোচন হয়ে যায় এবং আল্লাহ তাকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করেন।
২. মৃত্যুর সময় পাঠের ফজিলত:
মৃত ব্যক্তির জন্য সূরা ইয়াসিন পড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“তোমরা তোমাদের মৃতদের জন্য সূরা ইয়াসিন পড়ো।” (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)
“সূরা ইয়াসিন” মৃত্যুপথযাত্রীদের জন্য সহজতা ও শান্তি আনে এবং মৃত্যুর কঠিন সময়কে সহজ করে তোলে।
৩. রিজিক বৃদ্ধি ও সমস্যার সমাধান:
বিশ্বাস করা হয় যে, কেউ যদি প্রতিদিন ফজরের পর সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, তাহলে আল্লাহ তার রিজিকে বরকত দান করেন এবং তার জীবনের সমস্যাগুলো সহজ করে দেন।
৪. পাপ মোচন ও মাগফিরাত:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:
“যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, তার পূর্ববর্তী পাপসমূহ ক্ষমা করা হয়।” (আহমাদ, তাবরানি)
এটি মুমিনের পাপ মোচন এবং আল্লাহর মাগফিরাত পাওয়ার একটি বড় মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
৫. বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য:
কেউ যদি কোনো বিপদে পড়ে এবং সূরা ইয়াসিন পাঠ করে আল্লাহর কাছে সাহায্য চায়, তাহলে আল্লাহ তার জন্য সেই বিপদকে দূর করেন। এটি শারীরিক ও মানসিক বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য খুবই উপকারী।
৬. কবরের আযাব থেকে মুক্তি
বিশ্বাস করা হয় যে, যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করা হয়। এটি কবরের অন্ধকার থেকে মুক্তি দেয় এবং আল্লাহর রহমত নিয়ে আসে।
৭. শাফায়াত বা সুপারিশ পাওয়ার জন্য:
সূরা ইয়াসিন কিয়ামতের দিন পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
কুরআন পাঠকারী ব্যক্তির জন্য কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবে, বিশেষ করে সূরা ইয়াসিন পাঠকারী ব্যক্তির জন্য।(মুসলিম)
সূত্রঃ ইসলামী গ্রন্থ।