২০শে জানুয়ারি, ২০২৫, ১৯শে রজব, ১৪৪৬
সর্বশেষ
‘হাজার হাজার’ ফি’লিস্তিনি নারী ও নিষ্পাপ শি’শুদের গ’ণহত্যার ই’ন্ধনকারী হিসেবে জো বাইডেনের নির্লজ্জ বিদায়
২০০ মিলিয়ন ডলারে ট্রাম্পের শপথ আজ, নিরাপত্তায় ২৫ হাজার সদস্য
৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল: যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে নতুন আশা
আরাকান আর্মি আটক করা তিন জাহাজ অবশেষে মুক্ত
বিজয়ের বিধ্বংসী সেঞ্চুরির পরও দুর্বার রাজশাহীর হার
এক দুই ব্যাগ রক্তের সাথে স্যালাইন মিশিয়ে ৪ ব্যাগ রক্ত বানিয়ে রোগীদের কাছে বিক্রি করা মনুষ্যত্বহীন প্রতারক চক্র আটক
জমজমাট হলো এবারের রিহ্যাব আবাসন মেলা, ৪০৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট-প্লট বিক্রির রেকর্ড
নি’কৃষ্ট ই’হুদী জাতি ই’স’রাইল কর্তৃক বিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনে প্রায় ৮৮, লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় হবে
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রাক্কালে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ঘরে ফেরার প্রস্তুতি
রোববার ১৯ জানুয়ারী থেকে মাত্র ৬০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ বিক্রি করবে অন্তবর্তী সরকার

সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন

আওয়ার টাইমস নিউজ।

ইসলামী ডেস্ক: সূরা ইয়াসিন পবিত্র কুরআনের ৩৬তম সূরা, যার রয়েছে অসংখ্য ফজিলত ও বিশেষ গুরুত্ব। এই সূরাটি পবিত্র মক্কায় অবতীর্ণ। যাতে রয়েছে মোট ৮৩টি আয়াত। একে কুরআনের “হৃদয়” হিসেবেও উল্লেখ করা হয়, কারণ এই সূরাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও উপদেশ প্রদান করে। নিচে সূরা ইয়াসিনের কিছু ফজিলত ও বিশেষ দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১.কুরআনের হৃদয়:

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“সবকিছুর একটি হৃদয় থাকে, আর কুরআনের হৃদয় হলো সূরা ইয়াসিন।” (তিরমিজি)

কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, তার পাপ মোচন হয়ে যায় এবং আল্লাহ তাকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করেন।

২. মৃত্যুর সময় পাঠের ফজিলত:
মৃত ব্যক্তির জন্য সূরা ইয়াসিন পড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“তোমরা তোমাদের মৃতদের জন্য সূরা ইয়াসিন পড়ো।” (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)

“সূরা ইয়াসিন” মৃত্যুপথযাত্রীদের জন্য সহজতা ও শান্তি আনে এবং মৃত্যুর কঠিন সময়কে সহজ করে তোলে।

৩. রিজিক বৃদ্ধি ও সমস্যার সমাধান:
বিশ্বাস করা হয় যে, কেউ যদি প্রতিদিন ফজরের পর সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, তাহলে আল্লাহ তার রিজিকে বরকত দান করেন এবং তার জীবনের সমস্যাগুলো সহজ করে দেন।

৪. পাপ মোচন ও মাগফিরাত:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:
“যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, তার পূর্ববর্তী পাপসমূহ ক্ষমা করা হয়।” (আহমাদ, তাবরানি)
এটি মুমিনের পাপ মোচন এবং আল্লাহর মাগফিরাত পাওয়ার একটি বড় মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

৫. বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য:
কেউ যদি কোনো বিপদে পড়ে এবং সূরা ইয়াসিন পাঠ করে আল্লাহর কাছে সাহায্য চায়, তাহলে আল্লাহ তার জন্য সেই বিপদকে দূর করেন। এটি শারীরিক ও মানসিক বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য খুবই উপকারী।

৬. কবরের আযাব থেকে মুক্তি
বিশ্বাস করা হয় যে, যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করা হয়। এটি কবরের অন্ধকার থেকে মুক্তি দেয় এবং আল্লাহর রহমত নিয়ে আসে।

৭. শাফায়াত বা সুপারিশ পাওয়ার জন্য:
সূরা ইয়াসিন কিয়ামতের দিন পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
কুরআন পাঠকারী ব্যক্তির জন্য কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবে, বিশেষ করে সূরা ইয়াসিন পাঠকারী ব্যক্তির জন্য।(মুসলিম)

সূত্রঃ ইসলামী গ্রন্থ।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত