১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬
সর্বশেষ
পাকিস্তানের অপরূপ সৌন্দর্য: ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এক অনন্য গন্তব্য
গাজায় দ’খ’লদার ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত, মোট প্রাণহানি ৪৪ হাজার ছাড়াল
গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে জাতিসংঘে বিশ্বজনমতের বিজয়
কাবুলে আত্মঘাতী হামলায় তালেবান মন্ত্রী খলিল হাক্কানী নিহত
মাহমুদুল্লাহ ও তরুণ জাকিরের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে উইন্ডিজকে বড় রানের টার্গেট দিলো টাইগাররা
উইন্ডিজের বিপক্ষে মান রক্ষার লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ, আবারও ০ রানে ফিরলেন দায়িত্বজ্ঞানহীন লিটন দাস
শীতে চুলের যত্নে অ্যালোভেরার জাদু
২৩ জানুয়ারির মধ্যে বাজেট কাঠামো জমার নির্দেশ: দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনায় সরকারের পদক্ষেপ
বসুন্ধরায় শুক্রবার থেকে শুরু অ্যাম্বাসি ফুটবল ফেস্ট
বঙ্গভবনের অতিথি তালিকায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান

শুক্রবারে সূরা কাহাফ পড়ার বিশেষ ফজিলত

আওয়ার টাইমস নিউজ।

ইসলামী ডেস্ক: সূরা কাহাফ পবিত্র কোরআনের ১৮ তম সূরা। যার ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। এই সূরা তেলোয়াতের মাধ্যমে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাওয়া, এবং সওয়াব অর্জনের অন্যতম একটি মাধ্যম। এছাড়াও এই সূরা তেলাওয়াতের বিভিন্ন ফজিলত রয়েছে:

১. নূর (আলো) প্রাপ্তি।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
“যে ব্যক্তি শুক্রবারে সূরা কাহাফ পড়বে, তার জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী সময় আলোকিত করা হবে।” (তিরমিজি, হাদিস: ২৮৮৬)

২. দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা।

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:

> مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الكَهْفِ عُصِمَ مِنَ الدَّجَّالِ.
— (مسلم، حديث: 809)

“যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।”
— (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮০৯)

আরেক হাদিসে বলা হয়েছে:

> مَنْ قَرَأَ الْعَشْرَ الْآوَاخِرَ مِنْ سُورَةِ الْكَهْفِ، عُصِمَ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ.
— (مسلم، حديث: 809)

“যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের শেষ দশ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।”

৩. গুনাহ মাফ ও সওয়াব বৃদ্ধি।

সূরা কাহাফ পড়া আল্লাহর রহমতের কারণ হয়। এটি ছোটখাট গুনাহ মাফ করে এবং মুমিনের জন্য সওয়াব বৃদ্ধি করে।

> مَنْ قَرَأَ سُورَةَ الكَهْفِ كَانَتْ لَهُ نُورًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
— (أحمد، حديث: ١٠٨٣٣)

বাংলা অনুবাদ:

“যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ পড়বে, তা কিয়ামতের দিন তার জন্য একটি নূর হবে।” (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১০৮৩৩)

৪. আত্মার প্রশান্তি এবং ধৈর্য শিক্ষা।

সূরা কাহাফের চারটি প্রধান কাহিনি থেকে বিভিন্ন ধরণের শিক্ষণীয় দিক রয়েছে:

১. গুহার অধিবাসীদের (আসহাবে কাহাফ) কাহিনি।

২. মুসা (আ.) এবং খিজির (আ.) এর ঘটনা।

৩. ধনী ও গরিব ব্যক্তির উদাহরণ।

৪. যুলকারনাইন এবং ইয়াজুজ-মাজুজের কাহিনি।

এই কাহিনি গুলো ধৈর্য, ঈমান, এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ নির্ভরতার শিক্ষা দেয়।

সূরা কাহাফ পড়ার সময়

সময়: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত।একাগ্রতার সাথে অর্থ ও তাফসিরসহ পড়া উত্তম।

**সূরা কাহাফ শুক্রবারে পড়া শুধু একটি আমল নয়; বরং এটি দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য বিশেষ বরকত ও সওয়াবের মাধ্যম। এটি আমাদের ঈমান মজবুত করে এবং দুনিয়ার বড় বড় ফিতনা থেকে সুরক্ষা দেয়। সুতরাং, নিয়মিতভাবে শুক্রবারে সূরা কাহাফ পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

ইসলামী গ্ৰন্থ।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১