আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ৫৩তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরের হোটেল রয়েল চুলানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়।
সেখানে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দাতুক জুলহেলমি বিন ইথনাইন ও তার সহধর্মিণী দাতিন জামজেলিনা বিনতি আহমেদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ৩০টি দেশের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টারা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। এরপর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়, যা অতিথিদের মাঝে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ইতিহাস, অর্জন ও গৌরবময় ভূমিকা তুলে ধরে।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর মো. হাসান তারিক মন্ডল শুভেচ্ছা বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য এবং এ বাহিনীর অবদানের ওপর আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অসামান্য অবদান, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং দেশের উন্নয়ন ও দুর্যোগ মোকাবেলায় এ বাহিনীর ভূমিকার ওপর জোর দেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, পেশাগত দক্ষতার কারণে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে গৌরব অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নেই নয়, বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ অর্জন আমাদের গর্বিত করে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদাকে আরও উজ্জ্বল করে।
এছাড়াও,অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিদেশি অতিথিরা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দিবসের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তারা এই আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং দুই দেশের প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়ার মাটিতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্যপূর্ণ উদযাপন সম্পন্ন হয়। এ আয়োজন কেবল সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাসকেই তুলে ধরেনি, বরং বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে সহায়তা করেছে।