আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: পায়ের গোড়ালির ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যা যেকোনো বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা যেতে পারে। এটি দীর্ঘস্থায়ী বা সাময়িক হতে পারে এবং এর প্রধান কারণগুলো জেনে প্রতিকার নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশ কয়েকটি কারণ এই সমস্যার জন্য দায়ী। জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। তাই ব্যথার প্রকৃতি বুঝে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়াই উত্তম।
পায়ের গোড়ালিতে ব্যথার কারণসমূহ:
১. প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস: এটি সবচেয়ে সাধারণ কারণ। পায়ের পেছনের টিস্যুতে প্রদাহের কারণে ব্যথা দেখা দেয়, বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর।
২. আকিলিস টেন্ডিনাইটিস: গোড়ালির পেছনের টেন্ডনে চাপ পড়লে বা প্রদাহ হলে ব্যথা হয়।
৩. হিল স্পার: পায়ের হাড়ে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমে হাড়ের প্রান্তে ছোট বেরে উঠলে ব্যথা হতে পারে।
৪. আঘাত বা চোট: পায়ে আঘাত বা বেশি সময় ধরে পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে।
৫. আরথ্রাইটিস: বাতজনিত সমস্যা বা আরথ্রাইটিসের কারণে পায়ের জয়েন্ট ও আশপাশে ব্যথা হতে পারে।
৬. ওজনাধিক্য: অতিরিক্ত ওজন গোড়ালিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা ব্যথার কারণ হতে পারে।
গোড়ালির ব্যথার প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা:
১. বিরতি ও বিশ্রাম: পায়ের ওপর চাপ কমানোর জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
২. বরফ লাগানো: ব্যথার স্থানে দিনে কয়েকবার ১৫-২০ মিনিট বরফ লাগান। এটি প্রদাহ কমায়।
৩. স্ট্রেচিং ও ব্যায়াম: বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে প্ল্যান্টার ফ্যাসা এবং আকিলিস টেন্ডনের জন্য হালকা স্ট্রেচিং করুন।
৪. সঠিক জুতা ব্যবহার: আরামদায়ক এবং সাপোর্টিভ জুতা পরুন।
৫. মেডিকেশন: ব্যথা কমানোর জন্য ওভার-দ্য-কাউন্টার পেইন রিলিভার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬. ফিজিওথেরাপি: দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি কার্যকর হতে পারে।
৭. ডাক্তারি পরামর্শ: ব্যথা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সতর্কতা:
গোড়ালির ব্যথাকে অবহেলা করা উচিত নয়। সময়মতো চিকিৎসা নিলে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা এড়ানো সম্ভব।