
আন্তর্জাতিক করেসপন্ডেন্ট: হুসাইন আল আজাদ।
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার বিদ্রোহীরা দাবি করেছে যে, তারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর হামায় প্রবেশ করা শুরু করেছে। বিদ্রোহীদের প্রবেশ ঠেকাতে সরকারি বাহিনীগুলো রাশিয়ার বিমান হামলার সমর্থনে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
বিদ্রোহী কমান্ডার হাসান আব্দুল গনি সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জানান, তাদের বাহিনী হামা শহরে অনুপ্রবেশ শুরু করেছে। তবে সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের দাবি, সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের হামলা রুখে দিয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার থেকে বিদ্রোহীরা হামায় প্রবেশের চেষ্টা করছে। বিদ্রোহী বাহিনী এবং সিরীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে রাতভর লড়াই চলে। সরকারি বাহিনীর মিত্র ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া এবং রাশিয়ার জঙ্গি বিমান বিদ্রোহীদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে।
গত সপ্তাহে বিদ্রোহীরা আলেপ্পো শহর দখল করে উত্তরাঞ্চলে কৌশলগতভাবে শক্ত অবস্থান নেয়। মঙ্গলবার তারা হামার উত্তর দিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ে পৌঁছায় এবং বুধবার শহরের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে অগ্রসর হতে শুরু করে।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে হামা শহরটি সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে বিদ্রোহীদের হাতে শহরটির পতন হলে তার প্রভাব রাজধানী দামেস্ক থেকে শুরু করে রাশিয়া ও ইরান পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
হামা শহরটি আলেপ্পো থেকে দামেস্ক পর্যন্ত রুটের কেন্দ্রে অবস্থিত। বিদ্রোহীরা এটি দখল করলে তাদের সামনে হমস শহরে প্রবেশের পথ খুলে যাবে, যা সিরিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকাগুলোর সংযোগস্থল।
হামা শহরটি সংখ্যালঘুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর আশেপাশে খ্রিস্টান এবং ইসমাইলি সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। বিদ্রোহীদের সবচেয়ে শক্তিশালী উপদল হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। যদিও তাদের নেতা আবু মোহাম্মদ আল-গোলানি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তারপরও অনেকেই শঙ্কিত।
বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক বিজয়ের প্রতীক হিসেবে গোলানি বুধবার আলেপ্পোর ঐতিহাসিক দুর্গ পরিদর্শন করেছেন। এটি বিদ্রোহীদের শক্তি এবং অগ্রগতির একটি দৃষ্টান্ত হয়ে সামনে এসেছে।
তথ্যসূত্র: বিদ্রোহীদের সামাজিক মাধ্যম পোস্ট ও দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম রিপোর্ট।