আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: সরকারের কৌশলগত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন এবং ব্যয়ের দক্ষতা বাড়াতে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো পদ্ধতিতে বাজেট প্রণয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যে দেশের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাজেট কাঠামো জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট নথিপত্র অর্থ বিভাগের নির্দিষ্ট অনুবিভাগ এবং পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও সেক্টর ডিভিশনে পাঠাতে হবে।
গতকাল বুধবার এই বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, যেসব উন্নয়ন প্রকল্প একাধিক সেক্টর বা ডিভিশনের সঙ্গে যুক্ত, সেগুলোর সংশোধিত বা হালনাগাদ বাজেট কাঠামো সংশ্লিষ্ট সব বিভাগে পাঠানো বাধ্যতামূলক।
মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো মূলত তিনটি ধাপে প্রণয়ন করা হয়:
১. কৌশলগত পর্যায়: এই পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বর্তমান বাজেট কাঠামো হালনাগাদ করা হয়।
২. প্রাক্কলন পর্যায়: রাজস্ব, প্রাপ্তি এবং ব্যয়ের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
৩. বাজেট অনুমোদন পর্যায়: সামগ্রিক কাঠামো চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বাজেট কাঠামো প্রণয়ন ও হালনাগাদ করতে রাজস্ব, প্রাপ্তি এবং ব্যয়ের সম্ভাব্য হিসাবসমূহ আপডেট করতে হবে। ২৩ জানুয়ারির মধ্যে সংশোধিত বা হালনাগাদ করা এই নথি অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনে জমা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এই কাঠামোর মাধ্যমে সরকারের মৌলিক নীতি ও অগ্রাধিকারের সঙ্গে বাজেট বরাদ্দের সমন্বয় ঘটানো হবে। এছাড়া, মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তরগুলোর কার্যক্রমের সঙ্গে বাজেটের শক্তিশালী যোগসূত্র তৈরি করা এবং মধ্যমেয়াদে বাস্তবসম্মত ব্যয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।
মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোতে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণের পাশাপাশি সম্ভাব্য ব্যয়সীমা চিহ্নিত করা হবে। এর মাধ্যমে পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় একত্রিত করে একটি সমন্বিত বাজেট কাঠামো তৈরি করা হবে, যা সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারি ব্যয়ের স্বচ্ছতা, কার্যকারিতা এবং উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়বে। একইসঙ্গে, কৌশলগত নীতি ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত হবে বলে প্রত্যাশা সরকারের।