আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সিরিয়া নিয়ে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। বৈঠকে সিরিয়ার পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়েছেন দুই নেতা।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানায়, বৈঠকে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি কার্যকর পরিকল্পনা তৈরির আহ্বান জানান এরদোয়ান। অপরদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সিরিয়ার রাজনৈতিক রূপান্তরে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের সমন্বিত ভূমিকা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকটি এমন সময়ে হয়েছে যখন সিরিয়ায় তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহী দল ও মার্কিন মদতপুষ্ট কুর্দিশ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের (এসডিএফ) নেতৃত্বে থাকা ওয়াইপিজি-কে তুরস্ক কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-এর সহযোগী হিসেবে দেখে।
ব্লিংকেন জানিয়েছেন, “আমরা সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংঘাত এড়াতে এবং একটি স্থিতিশীল অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই।” তুরস্ক সফরের আগে তিনি পিকেকে-কে “তুরস্কের জন্য একটি বড় হুমকি” হিসেবে উল্লেখ করেন।
এর পাশাপাশি, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গেও সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠক করেছেন ব্লিংকেন। দুই নেতা সিরিয়াকে সুরক্ষিত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। ব্লিংকেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এই সংকটকালে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
সপ্তাহান্তে সিরিয়া ইস্যুতে একটি বিশেষ সম্মেলনে অংশ নেবেন আরব ও পশ্চিমা দেশগুলোর শীর্ষ নেতৃত্ব। জর্ডানে অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, কাতারসহ বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগ দেবেন। আলোচনার মূল বিষয় হবে সিরিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে ফোনালাপে সিরিয়ায় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। উভয় নেতা সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।