আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: দক্ষিণ কোরিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে সাহসী ও অনুকরণীয় বলে অভিহিত করেন।
তারেক রহমান বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য যে দৃঢ়তা ও একতা দেখাচ্ছে, তা প্রশংসনীয়। তাদের এই সংগ্রাম আমাদেরকেও অনুপ্রেরণা দেয়, কারণ বাংলাদেশেও আমরা দীর্ঘ সময় ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই করছি।
তিনি উল্লেখ করেন, গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে জনগণের শক্তিই প্রধান হাতিয়ার। তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক নিপীড়ন মোকাবিলায় ধৈর্য ও সংকল্পের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের জনগণ যেমন দমনমূলক শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগ্রাম করছে, দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের অবস্থা অনেকটাই তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অপব্যবহার ও নির্বাচিত সরকারগুলোর কর্তৃত্ববাদী আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, উভয় দেশেই নির্বাচিত সরকারগুলোর দ্বারা গণতন্ত্রের ফাঁকফোকরকে কাজে লাগানোর প্রবণতা দেখা গেছে। এটি আমাদের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এবং শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানই পারে এই ধরনের হুমকি রুখে দিতে। তারেক রহমান বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সাফল্য প্রমাণ করে, জনগণের অদম্য ইচ্ছাশক্তিই পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে।
তারেক রহমানের এই বিবৃতি এমন সময়ে এসেছে, যখন বাংলাদেশে বিরোধী দলগুলো স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং সরকারবিরোধী দমন-পীড়নের অভিযোগ তুলছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের পাশাপাশি বাংলাদেশের চলমান গণতন্ত্রপন্থী লড়াইয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।