আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৫৯ হাজার কোটি টাকা (প্রায় ৪ বিলিয়ন পাউন্ড) আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশে রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের তহবিল থেকে এই অর্থ সরানো হয়েছে। অভিযোগের তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, এই প্রকল্পে খরচ বাড়িয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ অর্থ টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যস্থতায় বিদেশি ব্যাংক ও কোম্পানিতে সরানো হয়েছে।
ব্রিটিশ রাজনীতিতে প্রভাব
টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতি বিষয়ক সিটি মিনিস্টার। তার দায়িত্ব যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক নীতিমালা এবং অর্থবাজারে সুশাসন নিশ্চিত করা। তবে এই অভিযোগে তার দায়িত্বে থাকার প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, তদন্ত চলাকালে তার পদত্যাগ যুক্তরাজ্যের স্বার্থে সম্মানজনক হতে পারে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার টিউলিপের ওপর তার পূর্ণ আস্থা রাখার কথা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্রের মতে, টিউলিপ সিদ্দিক এ অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তিনি বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলেও উল্লেখ করেছেন।
অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা ববি হাজ্জাজ। তার অভিযোগ, টিউলিপ ২০১৩ সালে শেখ হাসিনার সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং প্রকল্পের মধ্যস্থতা করেন। তবে টিউলিপ এই বৈঠককে “পারিবারিক” অনুষ্ঠানের অংশ বলে দাবি করেছিলেন।
ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় নিয়োগ নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। কিয়ের স্টারমারের বেশ কিছু নিয়োগ, যেমন পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামি এবং অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভসের যোগ্যতা নিয়েও সমালোচনা রয়েছে।
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায়, তার পদে থাকা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে।