আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সম্প্রতি ঘোষিত ১১ ইউনিটের কমিটিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিকে বয়কট করে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রধান ফটকে অগ্নিসংযোগ করেন। তারা নতুন কমিটি ঘোষণার দাবি তোলেন। সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস শুকুর আইমান অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে “পকেট কমিটি” গঠন করা হয়েছে।
সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. রায়হান হোসেন অপু বলেন, নতুন কমিটিতে ছাত্রলীগ থেকে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের স্থান দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত ছাত্রদের মাধ্যমে নেতৃত্ব তৈরির দাবিও তিনি জানান।
ঢাকা কলেজের পদবঞ্চিত অন্তত ৪০ নেতাকর্মী আহ্বায়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে নায়েমের গলিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক জামিল অভিযোগ করেন, আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে ছাত্রলীগের সদস্যদের কমিটিতে রাখা হয়েছে।
সাবেক সহসভাপতি তাসবিরুল ইসলাম বলেন, রাজপথে আন্দোলনে থাকা নেতাদের বাদ দিয়ে অনুগতদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি এই “অবৈধ কমিটি” প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন।
রাত ৯টায় তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা ফার্মগেটের মূল সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। তাদের অভিযোগ, দুঃসময়ে রাজপথে থাকা নেতাদের বাদ দিয়ে অছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়াও, রাত সাড়ে ১০টায় সরকারি তিতুমীর কলেজেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের কর্মীসহ অনিয়মিতদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এই “পকেট কমিটি” প্রত্যাখ্যান করেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, এবং আরও কয়েকটি ইউনিটের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে। তবে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পদবঞ্চিতদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।
এদিকে ‘পদবঞ্চিত নেতারা অভিযোগ করেছেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের জন্য কাজ করেছেন এবং আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত পছন্দের লোকদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। তারা দ্রুত নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
বিক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়ার এই ঘটনা ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিভক্তির বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এ পরিস্থিতি সমাধানের আহ্বান জানানো হচ্ছে।