আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাজাখস্তানের আক্তাও শহরের কাছে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা দেশজুড়ে শোকের ছায়া ফেলেছে। আজারবাইজান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি, যা ১০৫ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে যাত্রা করছিল, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) আকাশপথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দেশটির জরুরি পরিষেবা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই আগুন ধরে যায়। জরুরি কর্মীরা আগুন নেভানোর পাশাপাশি বিমানে জীবিত কাউকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিমানটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনি শহরে যাচ্ছিল। ঘন কুয়াশার কারণে গ্রোজনি বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পষ্ট না হওয়ায় এটি পুনরায় বাকুতে ফেরার চেষ্টা করছিল। তবে ফেরার পথেই কাজাখস্তানের আক্তাও শহরের আকাশে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
বিধ্বস্ত হওয়ার মূল কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে যান্ত্রিক ত্রুটির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। কাজাখস্তানের জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে গভীর অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।
বিধ্বস্ত বিমানটির ধ্বংসাবশেষে জীবিতদের সন্ধান চালানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মীরা জানান, আগুন নেভানোর কাজ সম্পন্ন হলেও ধ্বংসস্তূপের ভেতরে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দুর্ঘটনার পর আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি। বিষয়টি নিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছে কাজাখস্তান সরকার এবং আন্তর্জাতিক মহল।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সহমর্মিতার বার্তা আসছে। উদ্ধার কার্যক্রম ও তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগেও কাজাখস্তানে এমন বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালে বেক এয়ারলাইন্সের একটি ফকার ১০০ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ১৪ জন নিহত হয়েছিলেন।