আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দ’খলদার ই’সরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরের নাবলুস শহরে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এ সময় তারা অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর সমাধিতে নিয়ে যায়।
ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা নিউজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাদের প্রায় ৩০টি সামরিক যান নাবলুসে দেখা গিয়েছে। এসব সেনারা অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সেখানে অবস্থান নেয়।
ইহুদি ও মুসলমানদের জন্য পবিত্র স্থান।
হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর সমাধি মুসলমান ও ইহুদিদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত স্থান। তবে এই সমাধিকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে প্রায়ই উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ওয়াফা আরও জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা রামাল্লাহ শহরের পূর্বাঞ্চলের বুরকা গ্রামেও হামলা চালিয়েছে। তারা ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি এবং সম্পদ ধ্বংস করেছে।
পৃথিবীর ইতিহাসে স’বচেয়ে নি’কৃষ্ট ব’র্বর হিং’স্র হা’য়েনা খু’নি জাতি ই’সরায়েলি বাহিনীর দখলদারিত্বের ভয়াবহতা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি সেনাদের সহিংসতা এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের নির্যাতন বেড়ে গিয়েছে। ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা প্রায়ই ফিলিস্তিনিদের জমি ও ঘরবাড়ি দখল করে এবং তাদের সম্পদ ধ্বংস করে।
ইসরায়েলি সেনাদের দখলদারিত্ব এবং ইহুদিদের হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর সমাধিতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা শুধু ফিলিস্তিনিদের উপর জুলুমেরই প্রমাণ নয়, বরং এটি তাদের ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘনের একটি উদাহরণ। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দখলদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করছে এবং ফিলিস্তিনিদের জীবনে দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই অন্যায় দমন করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা নেওয়া।