আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনের ফলে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ৯৯ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকা পড়েছে, এবং রাস্তায় আটকে আছেন আরও অনেকেই।
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজায় চলমান বিমান ও স্থল হামলায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৫০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্তত ১ লাখ ৮ হাজার ১৮৯ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে গাজার জীবনযাত্রা একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, প্রায় ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। গাজার এই বিপর্যস্ত পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ সত্ত্বেও ইসরায়েলি হামলা থামছে না।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বেশ কিছু দেশও ইসরায়েলের এই হামলাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গত কয়েক মাসে চলমান এই সংঘর্ষে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন এবং যুদ্ধকালীন নিয়ম ভঙ্গের একটি স্পষ্ট উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই ধরনের হামলা মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক চুক্তির বিরুদ্ধে যায়, যা রাষ্ট্রের স্বীকৃত নীতির সাথে মেলে না।
গাজার মানুষ বর্তমানে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে জীবন যাপন করছেন। চলমান সংঘর্ষ, খাদ্য ও পানীয় সংকট, চিকিৎসা সহায়তার অভাব, এবং নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে তারা টিকে থাকার চেষ্টা করছে। তবে, সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহায়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু হামলার কারণে অনেক সহায়তা পৌঁছানোও সম্ভব হচ্ছে না।
শেষ কথা:
গাজার বর্তমান পরিস্থিতি একটি মানবিক বিপর্যয়। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু, অগণিত আহত, লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত এবং অপর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রী এই সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই সংকটের সমাধানে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং একটি স্থায়ী শান্তির জন্য কাজ করা। ইসরায়েলি হামলার ফলে গাজার জনগণের জীবন যেন আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।