আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অরলিন্স শহরে নববর্ষ উদযাপনের সময় ভয়াবহ পিকআপ হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। ৪২ বছর বয়সী সামসুদ্দিন জব্বার নামক এক ব্যক্তি দ্রুতগতির পিকআপ ভিড়ের মধ্যে তুলে দেন এবং পরে গুলি চালান। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি নিহত হন।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, হামলাস্থলে ইসলামিক স্টেটের পতাকা পাওয়া গেছে। তবে জব্বারের কোনো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় মতবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল কিনা, তা তদন্ত করা হচ্ছে।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, হামলাটি যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায়কে হতবাক করেছে। আমেরিকান-ইসলামিক সম্পর্ক কাউন্সিল (সিএআইআর) এবং অন্যান্য মুসলিম সংস্থাগুলো এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার সঙ্গে অভিবাসনের বিষয়টি উল্লেখ করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেছেন, "অপরাধীরা অভিবাসীদের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক, এবং এটি প্রমাণিত হচ্ছে।
সামসুদ্দিন জব্বার ছিলেন টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা এবং একজন সাবেক সেনা সদস্য। ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করেন এবং আফগানিস্তানে মোতায়েন ছিলেন। তিনি জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে রিয়েল এস্টেট পেশায় জড়িত হন।
জব্বার এর আগে চুরি এবং লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানোর জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
এই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মুসলিম সংস্থাগুলো প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।