
আওয়ার টাইমস নিউজ ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন, তার আগে ১০ জানুয়ারি আদালতে ঘুষ মামলার রায়ের মুখোমুখি হচ্ছেন। এই ঘটনা মার্কিন ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, এই অর্থ তার ব্যবসায়িক নথিতে জালিয়াতির মাধ্যমে গোপন রাখা হয়। এই ঘটনায় ৩৪টি অভিযোগ আনা হয় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
২০২৩ সালের মে মাসে নিউইয়র্ক আদালত ট্রাম্পকে সব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। তবে নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভের কারণে বিচারপতি সাজা ঘোষণার তারিখ স্থগিত করেছিলেন।
নিউইয়র্কের বিচারক জুয়ান এম. মার্চান ১০ জানুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ট্রাম্প জেলে যাবেন না এবং তার সাজা হতে পারে নিঃশর্ত অব্যাহতি। অর্থাৎ, তাকে কোনো অর্থদণ্ড বা প্রবেশন ভোগ করতে হবে না।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং এই মামলাকে অবৈধ বলে দাবি করেছেন। তিনি মনে করেন, এটি সংবিধানের পরিপন্থী এবং দ্রুত খারিজ হওয়া উচিত।
এই রায় ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যতে তেমন প্রভাব ফেলবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ রায় ঘোষণার পর তার আপিল করার পথ উন্মুক্ত থাকবে। তবে এই ঘটনা ট্রাম্পের সমর্থক এবং বিরোধীদের মধ্যে আলোচনা এবং বিতর্কের নতুন জোয়ার আনতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার মাত্র ১০ দিন আগে একজন নির্বাচিত নেতার সাজা রায় ঘোষণা নিঃসন্দেহে ইতিহাসে বিরল। এটি আইন ও রাজনীতির মিশ্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যোগ করবে।