আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: পরিবেশ রক্ষায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। নতুন এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দ্বীপের পরিবেশ দূষণ কমে আসবে, জীববৈচিত্র্য সুরক্ষিত থাকবে এবং বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নত হবে।
প্রতিদিন সেন্টমার্টিনে প্রায় চার টন বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে দুই টন মানববর্জ্য ও দুই টন কঠিন বর্জ্য। পর্যটন মৌসুমে এ পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পায়। এসব বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হবে প্লাজমা রিয়েক্টর প্রযুক্তি। এটি পরিবেশবান্ধব এবং দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন যুগের সূচনা করবে।
বাসিন্দা ও পর্যটকদের জন্য পানি সরবরাহে বিশেষ ডিজিটাল কার্ড ব্যবস্থা চালু করা হবে। এই কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকরা প্রয়োজন অনুযায়ী রেইন ওয়াটার, গ্রাউন্ড ওয়াটার ও সারফেস ওয়াটার থেকে পরিশোধিত পানি সংগ্রহ করতে পারবেন।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মানের পাবলিক টয়লেট, পরিবেশবান্ধব অপারেশন বিল্ডিং এবং বর্জ্য পরীক্ষার জন্য বিশেষ ল্যাব তৈরি করা হবে। ইট, সিমেন্ট ও লোহার রড ছাড়াই এসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) প্রকল্পটিকে পরিবেশ রক্ষায় যুগান্তকারী উদ্যোগ বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের মতে, এটি শুধু দ্বীপের পরিবেশ সংরক্ষণে নয়, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রকল্পটি আগামী জুন মাসে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করেছে তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেন্টমার্টিনের পরিবেশ উন্নয়নে এ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন দ্বীপটিকে টেকসই পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবে।
এই প্রকল্প সেন্টমার্টিনের মানুষের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে এবং পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের মাইলফলক হয়ে থাকবে।