আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি আজ অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই শুনানি করবেন।
২০১৩ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্ট। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলমান। গত বছরের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগের এক আদেশে নিবন্ধন পুনরুদ্ধারের আবেদন পুনরুজ্জীবিত করার অনুমতি দেওয়া হয়।
আজকের শুনানি প্রসঙ্গে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, “আগের শুনানিতে আমরা যুক্তি দিয়েছি যে, এই রিটটি জনস্বার্থের নামে করা হলেও আসলে এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
১. রিটটি জনস্বার্থে নয়, বরং ব্যক্তি ও রাজনৈতিক স্বার্থে করা হয়েছে।
২. নির্বাচন কমিশনের অধীনস্থ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই রিটটি করা হয়েছিল, যা প্রক্রিয়াগত ত্রুটি।
৩. আপিলকারীর মৃত্যুর পর নতুন আবেদনকারী যুক্ত হওয়ায় বিলম্ব মার্জনা করা হয়েছে।
শিশির মনির উল্লেখ করেন, হাইকোর্ট বিভাগ এই মামলাকে সাংবিধানিক ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত করে সরাসরি আপিলের সুযোগ দিয়েছিল। আপিল পুনরুজ্জীবিত হওয়ার পর এর বিচারিক পর্যায় নতুন করে শুরু হয়েছে।
জামায়াতের আইনজীবীদের দাবি, যদি নিবন্ধন পুনরুদ্ধার হয়, তবে দলের প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া যাবে। বিষয়টি আপিল শুনানিতে উত্থাপন করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক এবং আন্দোলন শুরু হয়। ছাত্র-জনতার তীব্র প্রতিবাদের পর সরকারের পতন ঘটে।
এই শুনানি কেবল একটি নিবন্ধন পুনরুদ্ধারের মামলা নয়; এটি বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের আইনি অবস্থান এবং সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে বৃহত্তর প্রশ্ন তুলে ধরেছে।
জামায়াতের নিবন্ধন পুনরুদ্ধার হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন অধ্যায় যুক্ত হবে। এ শুনানির ফলাফল বাংলাদেশের রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।