আওয়ার টাইমস নিউজ।
দক্ষিণ গোলার্ধে ও দক্ষিণ মহাসাগরে অবস্থিত অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে বিশাল বরফখণ্ড গলছে – যা আয়তনে ভারত ও মিশরের সমবেত এলাকার প্রায় সমান! বছরের এ সময় অভূতপূর্বভাবে সেখানকার বরফ নিম্ন স্তরে নেমে গেছে। প্রতি বছর এ বরফ ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তার সর্বনিম্ন স্তরে সঙ্কুচিত হয়। এ বছর ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে বরফ সর্বনিম্ন মাত্রায় (৬ লাখ ৯১ হাজার বর্গমাইলে) পৌঁছেছে। শীতকালে তা আবার তৈরি হয়। কিন্তু এ বছর বিজ্ঞানীরা ভিন্ন কিছু লক্ষ্য করেন!
মহাসাগরের বরফ প্রত্যাশিত মাত্রার কাছাকাছি কোথাও ফিরে আসেনি! সাগরের নিম্ন স্তরে যেতে যেতে প্রায় অদৃশ্য হওয়ার পথে। বিজ্ঞানীরা এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
জুলাই’র মাঝামাঝি সময়ে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের বরফ ছিলো ১ মিলিয়ন বর্গমাইল – যা ১৯৮১ থেকে ২০১০ সালের গড় থেকে কম। এটি ভারত ও মিশরের সমবেত অঞ্চলের মতো বিশাল এলাকা। বরফ গলে যাওয়ার ঘটনাটিকে কিছু বিজ্ঞানী ব্যতিক্রমী হিসাবে বর্ণনা করেন – যা লাখ লাখ বছরে একবারেই ঘটে! কলোরাডো বোল্ডার ইউনিভার্সিটির গ্ল্যাসিওলজিস্ট টেড স্ক্যাম্বোস বলেন: ’সিস্টেমটি যেভাবে হতো, তা বদলে গেছে।’ জলবায়ু সংকট ত্বরান্বিত হওয়ার সাথে সাথে সাগরের বরফ নিচের দিকে যাচ্ছে। এতে উষ্ণতা আরো বাড়তে পারে বলে বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন।
অ্যান্টার্কটিকা দক্ষিণ গোলার্ধের দ্রততম উষ্ণায়নের স্থানগুলোর অন্যতম। সাগরের বরফের অভাব তার বন্য-জীবনের ওপরও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। তিমি, পেঙ্গুইন ও সিল খাবার ও বিশ্রামের জন্যে সাগর বরফের ওপর নির্ভর করে। সাগর বরফ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখে। বরফ গলে গেলে, তা তাপমাত্রার ওপরও প্রভাব ফেলবে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১০ ফুট বেড়ে যেতে পারে। সূত্র: সিএনএন।