
আওয়ার টাইমস নিউজ।
গাজার উত্তরের এলাকায় আজ রবিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে বহু প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা। আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ঘরে ফেরার আশায় তাদের সামান্য জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছেন।
উত্তর গাজার একটি শরণার্থী শিবির থেকে সরিয়ে নেওয়া সওয়াদ ওয়ারশাগা জানিয়েছেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত। অবশেষে আমরা আমাদের এলাকায় ফিরে যেতে পারব। আমি আমার বাড়ি এবং পাড়া-মহল্লাকে ভীষণ মিস করেছি। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেই আমরা প্রথম সুযোগে ফিরে যাব।”
আরেকজন শরণার্থী লতিফা কাশকাশ বলেছেন, “আমি খুশি কারণ আমরা আবার আমাদের এলাকায় ফিরে যাব। তবে আমি কিছুটা ভীতও, কারণ ইসরাইলিদের ওপর এখনও পুরোপুরি ভরসা করতে পারছি না। আমাদের যাদের প্রাণ গেছে, তাদের জন্য খুবই দুঃখিত। এখানে তাঁবু রেখে যেতে হবে, আর ফিরে গিয়েও তাঁবুতে থাকতে হবে।”
যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মধ্য দিয়ে নতুন করে জীবনের আশায় গাজায় ফিরছেন অনেকেই। তবে তাদের মনে শঙ্কা রয়ে গেছে, যুদ্ধবিরতি টেকসই হবে কি না।
এদিকে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যুদ্ধবিরতির প্রাক্কালে ইসরাইলি হামলা যদি চলতে থাকে, তবে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। পিআইজের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু হামজা বলেছেন, “যদি ইসরাইল যুদ্ধবিরতির আগে তাদের আক্রমণ বাড়ায়, তবে এর ফল ভয়াবহ হবে। আটক বন্দিদের হত্যা করার মতো পদক্ষেপ নিতেও আমরা বাধ্য হতে পারি।”
গাজায় যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শান্তির একটি সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার আশা করা হচ্ছে। তবে এ শান্তি কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।