
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যিনি বর্তমানে লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা নিচ্ছেন, আজ (২৪ জানুয়ারি) হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বাসায় ফিরতে পারেন বলে জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বৃহস্পতিবার নতুন কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, যার রিপোর্ট শুক্রবার পাওয়া যাবে। যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তাহলে সন্ধ্যার মধ্যেই খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এরপর তিনি বাসায় থেকেই চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন।
গত ১৭ দিনের মধ্যে খালেদা জিয়ার একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। তবে কিছু রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি, এবং কয়েকটি পরীক্ষা স্থানীয়ভাবে না হওয়ায় বিদেশ থেকে করাতে হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই উন্নতির দিকে। তবে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার সিদ্ধান্ত নিতে আরও সময় লাগতে পারে। তার বয়স এবং আগের চিকিৎসা-সংক্রান্ত জটিলতাগুলো এই সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে।
চিকিৎসকরা ওষুধের মাধ্যমে তার চলমান চিকিৎসা অব্যাহত রাখার পক্ষে একমত। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তিনি তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। সেখানে একটি মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা পর্যবেক্ষণ করবে।
গত ৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেন। বিদায় জানানোর জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
৮ জানুয়ারি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছালে তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান তাকে স্বাগত জানান। সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়, যখন তারেক রহমান মাকে কাছে টেনে নিয়ে জড়িয়ে ধরেন। এরপর তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে জেলে থাকার কারণে তার চিকিৎসায় যে ধকল গেছে, সেটি এখনও চিকিৎসকদের চিন্তার বিষয়। চিকিৎসকদের মতে, যদি আগেই তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানো যেত, তাহলে হয়তো তার সুস্থতা আরও দ্রুত নিশ্চিত করা সম্ভব হতো।
আজকের রিপোর্ট অনুযায়ী সবকিছু ঠিক থাকলে, তিনি সন্ধ্যার মধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরবেন এবং বাসা থেকেই চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন।