১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৫ই শাবান, ১৪৪৬
সর্বশেষ
বাংলাদেশ থেকে নেপালে রপ্তানি হলো ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু
মোদির কাছে ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ: ট্রাম্পের মূর্তিবদ্ধ মন্তব্য, “আমি এটা মোদির হাতে ছেড়ে দেব”
তেঁতুলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়, সত্যিই কি তাই? জানুন এর সত্যতা কতটুকু
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইলন মাস্কের ভার্চুয়াল বৈঠক: নতুন দিগন্তের ইঙ্গিত?
শবে বরাত উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে দোয়া ও ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন
আজ পবিত্র শবে বরাত, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের রাত
পুতিন-ট্রাম্প ফোনালাপে ইউক্রেন যুদ্ধের শেষ, শান্তির নতুন আশা!
ইসরায়েলি রোগীদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকার, অস্ট্রেলিয়ায় দুই স্বাস্থ্যকর্মী বরখাস্ত

বাসাভাড়ার লাগামহীন বৃদ্ধি, ভাড়াটিয়াদের দুর্ভোগ চরমে

আওয়ার টাইমস নিউজ।

ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের শহরাঞ্চলে, বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায়, বাসাভাড়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ভাড়াটিয়ারা। প্রতি বছর নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম না মেনেই বাড়িওয়ালারা ভাড়া বাড়াচ্ছেন, যা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বিরাট চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাসাভাড়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট আইন থাকলেও এর বাস্তবায়ন কার্যকরভাবে না হওয়ায়, অনেকে বেকায়দায় পড়ছেন। ভাড়াটিয়াদের অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো লিখিত চুক্তি ছাড়া বাসা ভাড়া দেওয়া হয়, ফলে বাড়িওয়ালারা নিজেদের ইচ্ছেমতো ভাড়া নির্ধারণ ও বৃদ্ধির সুযোগ পান।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বাড়িওয়ালা ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়েছেন। মিরপুর, উত্তরা, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় যারা দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকছেন, তাদের বেশিরভাগই মাসিক ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

একজন ভাড়াটিয়া বলেন, “আমরা গত পাঁচ বছর ধরে এই এলাকায় থাকছি। শুরুতে ১০ হাজার টাকা ভাড়া ছিল, এখন সেটা বেড়ে ১৬ হাজারে পৌঁছেছে। অথচ বাসার কোনো নতুন সুবিধা যোগ করা হয়নি।

শুধু ভাড়াই নয়, অনেক বাড়িওয়ালা বিভিন্ন নামে অতিরিক্ত চার্জ নিয়ে থাকেন। যেমন, সার্ভিস চার্জ, পানি ও বিদ্যুতের বাড়তি বিল ইত্যাদি। এর ফলে অনেকের জন্য শহরে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে।

বাংলাদেশে ১৯৯১ সালের ‘বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন’ অনুযায়ী, বাড়িভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করার কথা। এই আইনে বলা হয়েছে, একবার ভাড়া নির্ধারণের পর পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে বাড়িওয়ালা চাইলে ভাড়া বাড়াতে পারবেন না, এবং বাড়ানোর প্রয়োজন হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। তবে বাস্তবে দেখা যায়, এই নিয়মের তোয়াক্কা করেন না বেশিরভাগ বাড়িওয়ালা। ফলে ভাড়াটিয়ারা নানান অনিয়মের শিকার হচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আইনটির কঠোর প্রয়োগ না থাকায় অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়াদের অসহায় অবস্থার সুযোগ নিচ্ছেন। তারা মনে করেন, নিয়মিত মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

ভাড়াটিয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নগরবিদরা। তারা বলছেন,

প্রতিটি এলাকায় নির্দিষ্ট হার নির্ধারণ করে বাসাভাড়া বাড়ানোর একটি নীতিমালা চালু করতে হবে।

ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের মধ্যে লিখিত চুক্তি বাধ্যতামূলক করতে হবে, যাতে কেউ চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করতে না পারেন।

সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি বাড়াতে হবে।

ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ রক্ষায় নির্দিষ্ট অভিযোগ কেন্দ্র চালু করে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

দিন দিন শহরে বসবাসের ব্যয় বেড়ে চলেছে। তাই ভাড়াটিয়ারা চান, সরকারের পক্ষ থেকে বাসাভাড়া নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নীতিমালার মাধ্যমে ভাড়ার অযৌক্তিক বৃদ্ধি বন্ধ করা গেলে শহরবাসীর জীবনযাত্রা অনেকটাই স্বাভাবিক হবে এবং সবার জন্য সাশ্রয়ী বাসস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত