
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি গাজা উপত্যকা দখলের একটি নতুন ঘোষণা দিয়েছেন, যা বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় তুলেছে। তিনি বলেন, “যুদ্ধ শেষে ইসরায়েল গাজাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করবে, এবং গাজা দখল করতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনার প্রয়োজন হবে না।
এই ঘোষণা ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথে’ প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি গাজাবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। তার দাবি, বহু গাজাবাসী ইতোমধ্যে উন্নত জায়গায় চলে গেছেন এবং যারা ভবিষ্যতে যাবেন, তারা ‘খুশি, নিরাপদ এবং মুক্ত’ থাকতে পারবেন।
এছাড়া, ট্রাম্পের বক্তব্যে গাজাকে বিশ্বের অন্যতম সুন্দর শহরে পরিণত করার আশ্বাসও রয়েছে। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ ডেভেলপমেন্ট দলের সঙ্গে কাজ করে ধীর গতি ও সতর্কতার সাথে গাজাকে পুনর্গঠন করবে, যার ফলে এটি হয়ে উঠবে “বিশ্বের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন শহর”।
তবে, ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের বিপরীতে ফিলিস্তিনের জনগণ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। গাজায় বসবাসরত এক ফিলিস্তিনি নারী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’তে বলেন, “আমরা গাজাতেই থাকব এবং গাজাতেই মরব। আমরা গাজা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা দেড় বছরের যুদ্ধ, মৃত্যু ও ধ্বংসের পরও এখানে রয়েছি, তাই আমরা কীভাবে এ ধরনের প্রস্তাবে রাজি হতে পারি?
এদিকে, ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্ক তীব্র হচ্ছে। এর আগে, ৬ ফেব্রুয়ারি, হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প গাজার সাধারণ মানুষকে স্থানান্তর করার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার পর, বিশ্বজুড়ে এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয় এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তরফে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া এসেছে, যেখানে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং স্থানীয় জনগণের আত্মনির্ধারণের অধিকারের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। ট্রাম্পের গাজা নিয়ে বক্তব্যের পর, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মধ্যে আরও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের পেছনে তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও গাজা অঞ্চলের ভবিষ্যত নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে।