
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান বন্দী-বিনিময় চুক্তি বাতিল হতে পারে, কারণ হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত না মেনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ তুলেছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) হামাস জানায়, ইসরায়েল যদি তাদের দেওয়া শর্তগুলো মেনে না চলে, তবে শনিবারের জন্য নির্ধারিত বন্দী-বিনিময় চুক্তি স্থগিত থাকবে।
হামাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ১৫ মাসের সংঘাতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় বহু ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সাহায্য পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ কারণে তারা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয় এবং ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি শর্ত পূরণের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বলেছে।
এএফপি-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির শর্তের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে আচরণ করছে, তার ফলে গাজার মানুষ দুর্দশার শিকার হচ্ছে।
হামাসের এই ঘোষণার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। তিনি হামাসের এই পদক্ষেপকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে ইসরায়েলি বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসের ঘোষণার বিষয়ে জিম্মি ব্যক্তিদের পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে।
গাজায় ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে এবং চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। ইতিমধ্যে ১৬ জন মুক্তি পেয়েছে, এবং শনিবারের পর আরও তিনজনকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। তবে হামাসের এই ঘোষণার পর বন্দী-বিনিময়ের পরবর্তী ধাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহল থেকে চাপ সৃষ্টি হওয়া উচিত, যাতে চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং মানবিক সংকটের সমাধান হয়।