আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীদের ওপর শারীরিক নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন ও অপদস্থ করার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ চালিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময় আওয়ামী লীগ সরকারের সশস্ত্র কর্মীরা নারীদের শারীরিক নির্যাতন করেছে, তাদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং যৌন হয়রানি করা হয়েছে। নারীদের আন্দোলনে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করতে এবং তাদের অপদস্থ করতে এমন আচরণ করা হয়েছে।
বিশেষ করে, প্রতিবাদী নারীদের বেআইনিভাবে আটক করে তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ করা হয়। কয়েকজন নারী আন্দোলনকারীকে শিকার করা হয় নির্যাতন এবং অমানবিক অবস্থায় আটক করার।
প্রতিবেদন আরও বলা হয়, আন্দোলন চলাকালে শিশুরাও নির্যাতনের শিকার হয়। তাদের বিচারবহির্ভূত হত্যা, বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার, অমানবিকভাবে আটক এবং ইচ্ছাকৃত অঙ্গহানি করা হয় পুলিশের মাধ্যমে।
প্রতিবেদনে একটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে আগস্ট মাসের শুরুর দিকে ঢাকায় একদল পুরুষ বাঁশের লাঠি হাতে এক নারীকে আটকায় এবং জানতে চায়, তিনি আন্দোলনকারী কি না। ওই নারীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়, তার চুল ধরে টানা হয়, জামা ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং যৌন হয়রানির শিকার করা হয়। এছাড়া, তাকে যৌন নিপীড়নমূলক গালাগালও করা হয়।
এছাড়া, ঢাকায় আরেকটি ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মীরা একটি নারী আন্দোলনকারীর ওপর হামলা চালিয়ে, তার মা এবং পরিবারের অন্যান্য নারীদের ধর্ষণের হুমকি দেয়।
কুমিল্লায় ছাত্রলীগের কর্মীরা বেশ কিছু নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, যার মধ্যে দুইজন শিক্ষার্থী ছিল। ওই শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির শিকার হতে হয় এবং পরে পুলিশ তাদের হস্তান্তর করে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এমন ঘটনার মধ্য দিয়ে একদিকে আন্দোলনকারীদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছিল, অন্যদিকে নারীদের সম্মান ও মর্যাদা উপেক্ষা করে তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে।