আওয়ার টাইমস নিউজ।
লাইফস্টাইল: বাজারে নকল ও ভেজাল মধুর পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে মধুর সঙ্গে চিনি, গ্লুকোজ সিরাপ, কৃত্রিম রং ও প্রিজারভেটিভ মেশানো হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিস, হজমজনিত সমস্যা এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তবে সহজ কিছু ঘরোয়া পরীক্ষার মাধ্যমে আসল মধু চেনা সম্ভব।
আসল মধু চেনার ৬টি কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি।
১. পানির পরীক্ষা:
এক গ্লাস পরিষ্কার পানিতে এক চামচ মধু দিন। খাঁটি মধু পানিতে সহজে মিশবে না এবং নিচে জমা হবে, কিন্তু নকল মধু দ্রুত পানির সঙ্গে মিশে যাবে।
২. আগুন পরীক্ষা:
একটি দেশলাই কাঠির আগায় মধু লাগিয়ে আগুন ধরান। আসল মধু হলে এটি সহজে জ্বলবে এবং ধোঁয়া হবে না। অন্যদিকে, নকল মধুতে আর্দ্রতা বেশি থাকায় এটি সহজে জ্বলবে না বা শোঁ শোঁ শব্দ করতে পারে।
৩. কাগজ বা টিস্যু পরীক্ষা:
একটি টিস্যু বা সাদা কাগজে কয়েক ফোঁটা মধু দিন। খাঁটি মধু ঘন হওয়ায় এটি সহজে ছড়াবে না বা কাগজ ভিজিয়ে দেবে না। কিন্তু নকল মধু পানির মতো হলে কাগজ ভিজে যাবে।
৪. আঙুল পরীক্ষা:
সামান্য মধু আঙুলে নিয়ে ঘষুন। খাঁটি মধু হলে এটি কিছুক্ষণ পর শুষ্ক ও আঠালো অনুভূত হবে। নকল হলে এটি চটচটে থাকবে এবং সহজেই গলে যাবে।
৫. ভিনেগার পরীক্ষা:
এক চামচ মধুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার মিশিয়ে নাড়ুন। যদি এতে ফেনা বা বাবল তৈরি হয়, তবে মধুতে ভেজাল থাকতে পারে।
৬. ফ্রিজ পরীক্ষা:
মধু ফ্রিজে রেখে দেখুন। আসল মধু সহজে জমবে না, তবে ভেজাল মধু দ্রুত শক্ত হয়ে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাঁটি মধু চিনতে এসব পদ্ধতি সহায়ক হলেও শতভাগ নিশ্চিত হতে ল্যাব পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। তাই মধু কেনার সময় বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড বা নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে সংগ্রহ করা উচিত। নকল মধু দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তাই সচেতন থাকা জরুরি।