আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় আমদানি করা ২৪টি বিলাসবহুল গাড়ির নিলাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি)। এসব গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আয়োজনে নিলাম কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে মোট ৪৪টি গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছে।
নিলামে অংশ নিতে আগ্রহীরা গত ২৭ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে দরপত্র দাখিল করেন। দরপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল গতকাল (১৬ ফেব্রুয়ারি)। আজ দুপুর ২টায় দরপত্র উন্মুক্ত করা হবে, যার মাধ্যমে জানা যাবে কোন গাড়ির নতুন মালিক হচ্ছেন কে।
নিলামে থাকা ৪৪টি গাড়ির মধ্যে ২৬টি জাপানি ল্যান্ড ক্রুজার, পাঁচটি টয়োটা হ্যারিয়ার, দুটি টয়োটা র্যাভ ফোর, একটি টয়োটা এস্কোয়ার এবং ১০টি চীনা হেভি ডিউটি সিনো ডাম্পট্রাক রয়েছে।
ল্যান্ড ক্রুজার (২৪টি নতুন) – প্রতি ইউনিট সংরক্ষিত মূল্য ৯.৬৭ কোটি টাকা
টয়োটা হ্যারিয়ার – বিভিন্ন মডেলের মূল্য ৫৫ লাখ থেকে ৮২ লাখ টাকা পর্যন্ত
টয়োটা র্যাভ ফোর – ২০১৯ মডেলের গাড়ির মূল্য ৫৪.৫৪ লাখ এবং ২০২০ মডেলের ৫৬.২২ লাখ টাকা
টয়োটা এস্কোয়ার – মূল্য ৩০.৩৮ লাখ টাকা
সিনো ডাম্পট্রাক – প্রতিটির মূল্য ৮৫.৩৬ লাখ থেকে ৮৫.৬৭ লাখ টাকার মধ্যে
নিলাম শুরুর আগেই গাড়িগুলো দেখতে কাস্টমস শেডে ভিড় করেছেন অনেকে। সাধারণ দর্শনার্থী ও বিডাররা গাড়িগুলোর অবস্থা পরিদর্শন করেছেন। তবে কিছু ব্যবসায়ী মনে করছেন, গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য তুলনামূলক বেশি হওয়ায় প্রতিযোগিতা কঠিন হতে পারে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন জানান, নিলামকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তবে কিছু গাড়ির মালিকানা ও শুল্ক সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ৩২টি এমপি-আমদানিকৃত গাড়ির মধ্যে ৭টি এখনো নিলামের বাইরে রয়েছে।
বিডারদের একজন জানান, নতুন গাড়ি থাকায় আগ্রহ বেশি থাকলেও উচ্চ মূল্য ও ভ্যাট-ট্যাক্সের কারণে অনেকের জন্য এটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বিলাসবহুল ল্যান্ড ক্রুজার, হ্যারিয়ার ও র্যাভ ফোরের জন্য ভালো বিডিং হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রামে এই নিলাম দেশে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা, যেখানে একসঙ্গে এত সংখ্যক নতুন বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, কোন দরদাতারা এগিয়ে আসেন এবং শেষ পর্যন্ত কারা এই গাড়ির মালিক হন।