আওয়ার টাইমস নিউজ।
অর্থনীতি: দেশে ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য এক বছরে ৫১ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট অতিরিক্ত তরল সম্পদ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত নগদ তারল্য কিছুটা কমে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো সরকারি সিকিউরিটিজে বেশি বিনিয়োগ করছে, ফলে অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমে যাওয়াই এর মূল কারণ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৭.২৭ শতাংশ, যা আগের বছর ১০ শতাংশের বেশি ছিল। এছাড়া মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি হ্রাস পাওয়ায় নতুন বিনিয়োগের প্রবাহ কমে গেছে।
ব্যাংক খাতের একাধিক নীতিনির্ধারক মনে করেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা নতুন প্রকল্পে আগ্রহী হচ্ছেন না। ফলে ব্যাংকগুলোর হাতে অতিরিক্ত অর্থ থাকলেও তা উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে না। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ডলারের প্রবাহ তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থায় রয়েছে এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, তারল্য বাড়লেও যদি বিনিয়োগ না বাড়ে, তাহলে অর্থনীতিতে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে। সরকারের উচিত বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন করে এই স্থবিরতা দূর করা।