আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: নতুন ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ গঠনের পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার পরও তাদের নতুন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এর প্রতিবাদে তারা সংগঠনটিকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংগঠনের নতুন কমিটি ঘোষণার সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। তারা দাবি করেন, আন্দোলনে যখন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পিছু হটেছিল, তখন মূল নেতৃত্ব দিয়েছিল বেসরকারি শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কমিটি ঘোষণায় দেখা যায়, কেন্দ্রীয় পদগুলো দখল করেছেন শুধু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কমিটি ঘোষণার সময় দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায় পরিস্থিতি। এতে কয়েকজন আহত হন এবং তাদের চিকিৎসা নিতে হয়।
বিক্ষোভে উপস্থিত থাকা তরিকুল ইসলাম নাহিদ বলেন,
"যারা আন্দোলনকে এক দফায় রূপ দিয়েছিল, তারা আজ উপেক্ষিত। সংগঠনের নাম গণতান্ত্রিক হলেও এতে কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই, শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা পদ নিয়েছে। আমরা এই স্বেচ্ছাচারী কমিটিকে মানি না!
তিনি আরও জানান, নতুন কমিটিতে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জায়গা পেয়েছেন, কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের রাখা হয়নি।
কমিটির ঘোষণার পর বিক্ষোভকারীরা বাংলামোটরে সড়ক অবরোধ করেন। তারা জানান, কমিটি পুনর্গঠন করে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, অন্যথায় আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
এদিকে, সংগঠনের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এবং মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদাসসির এই বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য দেননি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ দাবি করেছে যে, বিক্ষোভকারীরা মূলত সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত কমিটি সংশোধন না হবে এবং সবাইকে সমানভাবে অন্তর্ভুক্ত করা না হবে, ততদিন তারা সংগঠনটির কোনো কার্যক্রমে অংশ নেবেন না। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তারা আরও বড় কর্মসূচির ডাক দিতে পারেন বলে জানা গেছে।