
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ রবিবার (২ মার্চ) নতুন করে চারজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকার পরও ইসরায়েলের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১ মার্চ শেষ হয়। ইসরায়েল সাময়িকভাবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও নতুন শর্ত আরোপ করায় হামাস তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হওয়ার আগেই আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবং আহত হয়েছেন ৪৯০ জনের বেশি মানুষ।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ড্রোন হামলায় এক নারী নিহত হন এবং আরও দুইজন আহত হয়েছেন। এছাড়া রাফায় স্নাইপারের গুলিতে এক ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং বেইত হানুনে দুইজন প্রাণ হারান।
ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করছে, তারা সন্দেহভাজনদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, নিহতদের বেশিরভাগই নিরীহ বেসামরিক মানুষ।
অন্যদিকে, হামাস জানিয়ে দিয়েছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত না মানলে তারা দ্বিতীয় ধাপে যাবে না। তাদের দাবি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করতে হবে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী,
গাজার ৮৫% মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
৬০% অবকাঠামো ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে গাজার মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হতে পারে।