আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা নেই এবং তিনি দেশে নির্বাচন হতে দিচ্ছেন না। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ইউরোপীয় নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ফ্লোরিডার এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, “জেলেনস্কি কেবল বাইডেনের কথার প্রতিধ্বনি করেন।” পরে, নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের অবস্থা শোচনীয়, অথচ জেলেনস্কি ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছেন।
ট্রাম্পের দাবি, ইউক্রেনের মূল্যবান খনিজ সম্পদ রপ্তানি সংক্রান্ত একটি চুক্তি ভঙ্গ করেছেন জেলেনস্কি, যা মার্কিন স্বার্থের পরিপন্থী। তিনি বলেন, "জেলেনস্কির কর্মকাণ্ড ভয়ংকর, তার দেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।"
জেলেনস্কি ট্রাম্পের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, "বিশ্বের সামনে দুটি পথ খোলা আছে— পুতিনকে সমর্থন করা বা শান্তির পক্ষ নেওয়া।" তিনি দাবি করেন, রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে, আর ট্রাম্প সেই প্রভাবেই কথা বলছেন।
ট্রাম্পের বক্তব্যে ইউরোপীয় নেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার ও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। শলৎজ বলেন, “জেলেনস্কির গণতান্ত্রিক বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ করা অন্যায়।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা ব্রাসেলসে এক প্রতিরক্ষা সম্মেলনে একত্রিত হয়ে ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সতর্ক করে বলেন, “ইউরোপ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে।”
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ইউক্রেনের বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে গোপন আলোচনা চালাচ্ছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইউক্রেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া টিমোশেঙ্কো ও সাবেক প্রেসিডেন্ট পিওতর পোরোশেঙ্কো। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু— ইউক্রেনের আগামী নির্বাচন এবং জেলেনস্কির বিকল্প নেতৃত্ব কেমন হতে পারে।